Cyclone 'Mahasen' hit Patuakhali coast
with wind speed up to 90 kilometres per
hour on Thursday morning.
Control room says one elderly man died,
crushed by a tree, at Bhola's Lalmohan
Upazila.
Cyclone Mahasen started crossing Bangladesh's low-lying coast on Thursday, bearing down on the ports of Chittagong and Cox's Bazar, as tens of thousands of people huddled in shelters from a storm which the United Nations says threatens 4.1 million people.
Winds up to 100 kph (60 mph) lashed the coast and whipped up waves, with an expected 2.1 metres (seven feet) storm surge and heavy rain expected to cause widespread flooding.
"It started to cross and is approaching towards Chittagong and Cox's Bazar coasts," said a Bangladesh meteorological department official.
The storm first hit Khepupara on Bangladesh's southern coast and was tracking northeast towards the two ports on the eastern coastline near Myanmar.
Eyewitnesses said low-lying coastal areas were covered in waist-deep water as the storm crossed and trees were uprooted and houses damaged. Two people were reported killed, one crushed by a falling tree and another as he made his way to a shelter.
Bangladesh raised its storm warning to seven, on a scale with a maximum of 10, as Mahasen approached one of the poorest countries in Asia.
The storm killed at least seven people and displaced 3,881 in Sri Lanka as it tracked across the Bay of Bengal towards Bangladesh.
A boat carrying Rohingya Muslims in neighbouring Myanmar capsized at around midnight on Monday after hitting rocks off Pauktaw in Rakhine State while evacuating ahead of the storm. Official media said 42 people were rescued, but 58 were missing.
"The government has ordered the evacuation of about one million people from 15 coastal districts," said the U.N. Office for Coordination of Humanitarian Affairs (OCHA).
"As per the latest storm trajectory, 4.1 million people have been identified as living in at risk areas in the districts of Chittagong and Cox's Bazar," it said in its latest update.
The port in Chittagong, which has a population of about three million, and the airport in Cox's Bazar were closed on Wednesday.
Meteorologists said Mahasen should weaken quickly into a tropical rain depression over land.
"Mudslides will also be a concern as the heavy rain spreads farther north and east on Thursday night and Friday into easternmost India and northern Myanmar," said meteorologists at Accuweather.com storm forecasters.
"PRAY TO ALLAH"
Bangladesh has more than 1,400 cyclone-proof buildings on standby, but across its eastern border in Myanmar tens of thousands of people on the coast were sheltering in makeshift camps and huts made of timber and palm fronds.
In 2008, Cyclone Nargis killed up to 140,000 people in Myanmar's Irrawaddy delta, south of the main city, Yangon.
The U.S.-based Tropical Storm Risk said Mahasen should track northeast after hitting Chittagong, missing Myanmar.
The Myanmar government had planned to move 38,000 internally displaced people, most of them Rohingya Muslims, by Tuesday but many have refused to relocate from camps in Rakhine State in the west of the country, afraid of the authorities' intentions.
At least 192 people were killed in June and October last year in violence between ethnic Rakhine Buddhists and Rohingyas, who are denied citizenship by the government in Myanmar and considered by many Buddhists to be immigrants from Bangladesh.
At a camp near the sea on the outskirts of Sittwe, the capital of Rakhine State, several people told Reuters on Wednesday they would rather perish in the storm than evacuate.
"We arrived here last year because of the clashes between Rakhine and Muslims. I lost everything. Both my mother and my two young daughters died," said Hla Maung, 38, a Muslim. "If the cyclone hits here, I will pray to Allah. Everyone here wants to die in the storm because we lost everything last year."
Myanmar is a mainly Buddhist country but about 5 percent of its 60 million people are Muslims. They face a growing anti-Muslim campaign led by radical Buddhist monks. A Reuters Special Report found apartheid-like policies were segregating Muslims from Buddhists in Rakhine State.
অবশেষে বাংলাদেশ উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় মহাসেন। আজ সকাল নটা নাগাদ পটুয়াখালির খেপুপাড়া উপকূলে আছড়ে পড়েছে মহাসেন। অসমর্থিত সূত্রে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই মুহুর্তে ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, ঝড়ের ব্যাস ৪০০ কিলোমিটার।
আপাতত উপকূল ঘেঁষে উত্তরপূর্ব দিকে এগোচ্ছে মহাসেন। গতি বজায় থাকলে দুপুরে মধ্যেই চট্টগ্রাম উপকূলে আছড়ে পড়বে ঝড়। ঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের উপকূল এলাকায় তিন নম্বর সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দিঘায় পুলিসের তরফে মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। পর্যটকদের সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে।উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের গতি ঘণ্টায় আশি থেকে একশো কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
:: বরগুনা প্রতিবেদক ::
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'এর প্রভাবে বরগুনায় এক জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জেলায় প্রচণ্ড বেগে বইছে ঝড়ো হাওয়া।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবুল আখতার জানিয়েছেন, জেলার পূর্ব রানীপুর এলাকায় সৈয়দ আলী খান (৭৫) নামের এক বৃদ্ধ বুধবার শেষ রাতে গাছ চাপায় মারা গেছেন।
তিনি আরো জানান, বুধবার রাত থেকেই জেলার অধিকাংশ এলাকার বিদ্যুত্সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় প্রথম আঘাত হানে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-পূর্ব দিকে সরে গিয়ে দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম-নোয়াখালী উপকূল অতিক্রম করবে বলে ধারণা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরগুনার নিচু এলাকায় ছয় থেকে সাত ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হয়েছে। বরগুনা শহরের কিছু নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছপালা।
জেলা প্রশাসন বলছে, বরগুনার ৩২৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন।
ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম |
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় মহাসেন পটুয়াখালী অতিক্রম করে এখন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় এক সংবাদ সম্মেলনে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম এ তথ্য জানান।
শাহ আলম বলেন, "মহাসেন বঙ্গোপসাগর থেকে তেতুলিয়া এবং মেঘনা নদী দিয়ে বরগুনার পাথরঘাটা হয়ে উত্তর-পূর্ব দিক থেকে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই ঝড়ের গতিবেগ কমে ঘণ্টায় ৬০-৭০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে সমতলে এলে ঝড়ের গতি আরো কমে আসবে।"
শাহ আলম বলেন, "ঝড়ের প্রভাবে সারা দেশে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। তবে খেপুপাড়ার প্রবল বর্ষণ এখন অনেকটাই কমে এসেছে। পটুয়াখালী থেকে ঝড়টি মংলার দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, তা ক্রমশ সেখান থেকে সরে যাচ্ছে।"
তিনি আরও বলেন, "ইতোমধ্যে মহাসেন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চলের ১৪০ কি.মি. সীমানার মধ্যে প্রবেশ করেছে। যে কোনো সময় তা আঘাত হানতে পারে। তবে দুঃখজনক বিষয় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পরেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সাধারণ মানুষের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। ঝড়ের প্রভাবে সৈকত প্লাবিত হলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।"
সমুদ্র সৈকত থেকে নিরাপদ অবস্থানে সরে যাওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৩
এমএইচপি/এটি/ সম্পাদনা: মীর সানজিদা আলম ও রাইসুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর
'মহাসেন' এর সবশেষ খবর জানতে আপনার রবি নম্বর থেকে ডায়াল করুন ৮৮৭৭ নম্বরে
ঢাকা : উপকূল ঘেঁষে আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'। ইতোমধ্যে উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর খেপুপাড়া অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড়টি।
তবে খেপুপাড়ায় এখনও অব্যাহত রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব। সেখানে থেমে থেমে প্রচণ্ড গতিতে দমকা হাওয়া বইছে। ক্রমেই বাড়ছে বাতাসের গতিবেগ। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৭টা থেকে ঝড়ের গতি সহিংস আকার ধারণ করছে।
এরআগে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে ৩-৪ ফুট পানি জমেছে। এতে তলিয়ে গেছে মাঠের সব ফসল। ঝড়ের আঘাতে গাছপালা, ছোট ছোট ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ ৩২ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ঘন্টায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) তাদের সর্বশেষ সংবাদে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সরে এর কেন্দ্রটি বাংলাদেশের উপকুলের উপর রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি বিকেলের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার জেলাসমূহের উপর দিয়ে অতি ভারী বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
এ অবস্থায় আবহাওয়া অধিদফতর চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমূদ্র বন্দরসমূহকে এখনও ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। আর মংলা সমূদ্র বন্দরকে এখনও ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৫ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১০ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা সমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘন্টায় ৯০-১০০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
(ওএসআর/ইউসি/এসআর/মে ১৬, ২০১৩)
ঢাকা : পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ও ভোলার চরফ্যাশনের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে উপকূলীয় এই দুই জেলায় প্রথম আঘাত হানে 'মহাসেন'। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ খবর জানা যায়।
৪০০ কিলোমিটার ব্যাপ্তি নিয়ে মহাসেন অগ্রসর হচ্ছে বলে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক শাহ আলম জানিয়েছেন।
তিনি জানান, খেপুপাড়ায় ২৩২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ১২২ মিমি, বরিশালে ৯৫ মিমি, ভোলায় ৭৮, ফেনীতে ৭৫ মিমি, হাতিয়ায় ৫৪ মিমি, চট্টগ্রামে ৩৭ ও কক্সবাজারে ১৭ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এছাড়া মহাসেনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়াসহ ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আবহাওয়া অধিদফতর সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২৭০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ২২৫ কিলোমিটার এবং মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি ৩৫ কিলোমিটার বেগে উপকূলের দিকে এগুচ্ছে।
আমাদের বাগেরহাট ও পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, ওই দুই জেলার কোথাও বিদ্যুৎ নেই। বাগেরহাটে মধ্যরাত থেকেই ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বইছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন'র প্রভাবে উপকূলের কয়েকটি জেলায় ভারী বর্ষণ ও দমকা হাওয়া বইছে।
(এসআর/ইউসি/এএইচ/মে ১৬, ২০১৩)
'গরু- মহিষ রাখি আশ্রয় কেন্দ্রে যামু না'
:: হারুন অর রশিদ রাজিব ::
"আমরা যদি গরু মহিষ রাখি আশ্রয় কেন্দ্রে যাই তাইলে আমাদের এই গুলারে কে দেখবো। তার চাইতে ভালো বাঁচলে বাঁচবো, মরলে মরবো, নিজ ঘরে থাকমু" এভাবেই বলছিলেন নোয়াখালীর চরাঞ্চলের বাসিন্দা লোকমান আলী।
ঘূর্ণিঝড় মহাসেন যে কোন সময় নোয়াখালীর উপকূলে আঘাত হানতে পারে। উপকূলের সর্বত্র বিরাজ করছে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা। ঝড়ের চিন্তায় রাত কাটলেও এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ লুটপাটের আশঙ্কায় জীবনের ঝুঁকি থাকা স্বত্ত্বেও বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছেন না।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নোয়াখালীতে প্রচুর বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বইছে। ফলে থেমে যাচ্ছে চরাঞ্চলের মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে সরানোর কাজ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নোয়াখালীর মেঘনা নদীর অববাহিকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত চলছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নোয়াখালীর হাতিয়া নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড়ে আতঙ্কে মানুষ রাত জেগে বসে ছিল।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারণা চালালেও লুটপাটের আশঙ্কায় অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজ বাড়িতে আছেন বলে জানান চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন।
এআইএম/এএসটি
**মহাসেন এখন ঘন্টায় প্রায় ২০ কি.মি গতিতে এগুচ্ছে। বুধবার মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। কক্সবাজার থেকে এর দূরত্ব ছিলো ৫০০ কিলোমিটার। মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে এটি ৪৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে ছিলো।
**আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' খেপুপাড়া-টেকনাফ হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বৃহস্পতিবার দুপুরে।
**চট্রগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে আগের মতোই ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর মংলা বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত।
**উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর সঙ্কেতের আওতায় থাকবে।
**পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে পাঁচ নম্বর সঙ্কেত প্রযোজ্য হবে।
**চাঁদপুরের চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়ন ইব্রাহীমপুর, রাজরাজেশ্বর ও নীলকমল ইউনিয়নের অধিকাংশ লোকজন তাদের বসত-ভিটার মায়া ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছে না।
**ভোলায় ভোলায় ১৩ হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়া আসা হয়েছে। চরফ্যাশনের মূল ভূখণ্ড ও সাগর উপকূলের বিচ্ছিন্ন চরগুলোতে ২৫টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
**কক্সবাজারের উপকূলীয় মহেশখালী-কুতুবদিয়া এলাকায় ১৫ মে গভীর রাত পর্যন্ত অন্তত একলাখ লোক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন ভাবে নিরাপদ স্থানে রয়েছে আরো ৫০ হাজার লোক। রাতেই মহেশখালীতে ত্রাণ বিতরণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
শাহবাগে সাইবার যুদ্ধ
**বৃহস্পতিবার দুপুর দু'টার দিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় 'মহাসেন' আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।
**হাতিয়ার দক্ষিণদিকে দমকা হাওয়া বইছে। হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের দিকের অংশটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। সেখানে পানির উচ্চতা পাঁচ ফুট বেড়ে গিয়েছে।
**বরগুনা ও ভোলার উপকূলবর্তী এলাকায় বুধবার ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে পাঁচজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে দুজনের গাছচাপায় মৃত্যু হয়েছে।
**ঘূর্ণিঝড় `মহাসেন' চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে আঘাত হানছে। ওই উপজেলার উড়িরচর আজিমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা বাড়িঘর বিধ্বস্ত ও গাছ-পালা উপড়ে গেছে। একই সঙ্গে বেঁড়িবাধ ডিঙ্গিয়ে উপজেলার কাজীপাড়া এলাকা দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের পানি জনবসতিতে ঢুকে পড়ছে।
**বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হতে থাকা ঘূর্ণিঝড় মহাসেন মেঘনা মোহনা হয়ে নোয়াখালী এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড দিয়ে স্থলভাগ অতিক্রম করছে।
ক্র্যাক প্লাটুন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে ঢাকা শহরে গেরিলা আক্রমণ পরিচালনাকারী একদল তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত দল, যারা তৎকালীন সময় একটি কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন। এই গেরিলা দলটি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে "হিট এন্ড রান" পদ্ধতিতে অসংখ্য আক্রমণ পরিচালনা করে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ত্রাসের সঞ্চার করেন।
==বাহিনীর গেরিলাদের পরিচয়==
এই গেরিলা দলটিতে যারা যছিলেন তাঁরা হলেন:
* আবুল বারক আলভী
* শহীদ আব্দুল হালিম চৌধুরী জুয়েল, বীর বিক্রম
* আযম খান
* আলী আহমেদ জিয়াউদ্দিন, বীর প্রতীক
* ইশতিয়াক আজিজ উলফাত
* কাজী কামালউদ্দিন, বীর বিক্রম
* কামরুল হক স্বপন, বীর বিক্রম
* গোলাম দস্তগীর গাজী, বীর প্রতীক
* চুলু
* জহির উদ্দিন জালাল
* জহিরুল ইসলাম
* নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু
* নীলু
* পুলু
* ফতেহ চৌধুরী
* শহীদ বদিউজ্জামান
* বদিউল আলম বদি, বীর বিক্রম
* মতিন - ১
* মতিন - ২
* শহীদ মাগফার আহমেদ চৌধুরী আজাদ
* মাহবুব
* মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম
* মাযহার
* রাইসুল ইসলাম আসাদ
* লিনু বিল্লাহ
* শহীদ শফি ইমাম রুমী
* শহীদুলাহ খান বাদল
* শাহাদত চৌধুরী
* সামাদ
* হাবিবুল আলম, বীর প্রতীক
* হিউবার্ট রোজারিও
* হ্যারিস
==নামকরণ==
খালেদ মোশাররফের নির্দেশনা ছিলো হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে বিদেশী সাংবাদিক ও অতিথিরা থাকাকালীন ঢাকা শহরের পরিস্থিতি যে শান্ত নয় এবং এখানে যুদ্ধ চলছে তা বোঝানোর জন্য শহরের আশে-পাশে কিছু গ্রেনেড ও গুলি ছুড়তে হবে; কি
==প্লাটুন গঠনের ইতিহাস==
এই দলটি গঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিলেন খালেদ মোশাররফ, বীর উত্তম] এবং এটিএম হায়দার, বীর উত্তম।এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ২ নং সেক্টরের অধীন একটি স্বতন্ত্র গেরিলা দল যারা মূলত গণবাহিনীর অংশ বলে পরিচিত। এই বাহিনীর সদস্যরা ভারতের মেলাঘর প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এই প্রশিক্ষনে গ্রেনেড ছোড়া, আত্ম-গোপন করা প্রভৃতি শেখানো হতো।
==অপারেশন==
পাঁচ হতে ছয় জনের এক একটি গ্রুপ তৈরী করে এই গেরিলা দলটি অপারেশনে অংশ নিতো। ঢাকা শহরে তাঁরা মোট ৮২টি অপারেশন পরিচালনা করেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু হলো:
* অপারেশন হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টাল
* অপারেশন গ্যানিজ পেট্রল পাম্প
* অপারেশন দাউদ পেট্রল পাম্প
* অপারেশন এলিফ্যান্ট রোড পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন যাত্রাবাড়ী পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন উলন পাওয়ার স্টেশন
* অপারেশন ফার্মগেট চেক পয়েন্ট
* অপারেশন তোপখানা রোড ইউএস ইনফরমেশন সেন্টার
* অ্যাটাক অন দ্য মুভ
কৃতজ্ঞতাঃ ছবির মত দেশ
No comments:
Post a Comment