Tuesday, May 14, 2013

বাকশালী সরকার রজনীকান্তের সাহায্যে লাশ গুম করেছে: আনোয়ার

বাকশালী সরকার রজনীকান্তের সাহায্যে লাশ গুম করেছে: আনোয়ার

নিজস্ব মতিবেদক

বিগত ৫ মে দিবাগত রাত্রে বাকশালী সরকারের ফেসিবাদী পুলিশ রেব ও বিজিবির সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর নির্মম আক্রমনে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে জিহাদে বেস্ত ৫০ হাজার মুজাহিদের হত্যা কান্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর মতি কণ্ঠ আনোয়ার ওরফে এম কে আনোয়ার।

আজ বাকশালী সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ও সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী এবং নিখিল বাংলাদেশ হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি এডভকেট সাহারা খাতুনের মালিকানাধীন বিলাস বহুল আরাম দায়ক হোটেল এমপেরিয়াল এন্ড গেষ্ট হাউসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন মতি কণ্ঠ আনোয়ার।

আনোয়ার বলেন, আপনারা সবাই জানেন, বিগত ৫ মে বাকশালী সরকার মতিঝিলে মুজাহিদগনের উপর কি নির্মম হত্যা যজ্ঞ চালিয়েছে। সারা দুনিয়া আজ এর নিন্দায় মুখর। দেশে দেশে এম পি মন্ত্রীদের চোখে আজ পানি। ৫০ হাজার মুজাহিদ সেদিন নিহত হন। আরও ৫০ হাজার আহত হন। শহীদের রক্তে সেদিন মতিঝিল ভেসে যায়। একাত্তর এর কাছে কিছুই না। পাকিস্তানীরা একাত্তর সালে কিছু দুমদাম ঠুশঠাশ করেছিল শুধু।

আবেগঘন কণ্ঠে মতি কণ্ঠ আনোয়ার বলেন, পরদিন সকালে আমি মর্নিং ওয়াকে গিয়া দেখি শুধু লাছ আর লাছ। আমি স্থানীয় বাদাম বুট বিক্রেতার নিকট হইতে দশ টেকার বুট ক্রয় করি। হাওয়া ভবনের চান্দা হিসাবে সেই দশ টেকার এক টেকা পুনরায় তার নিকট হইতে আদায় করি। তারপর বুট চিবাইতে চিবাইতে লাছ গননা শুরু করি। ৫০ হাজারে গিয়া আমার গননা শেষ হয়। আর বাকশালী সরকার কিনা এই হত্যা কান্ড অস্বীকার করে। ৫০ হাজারের একজন যদি কম মরছে ত গু খাই।

মতিঝিলে রাত্র কালে পুলিশী অভিযানে রজনীকান্ত

এত লাশ কোথায় গেল, এ প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার প্রকাশ করেন এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি বলেন, বাকশালী সরকার রজনীকান্তের সাহায্যে ৫০ হাজার মুজাহিদের লাছ গুম করছে।

মতি কণ্ঠ আনোয়ার ভারতের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রজনীকান্ত একজন হিন্দু ও ইনডিয়ার লোক। এতেই প্রমানিত হয় সে বাকশালী সরকারের বন্ধু ও মুমিন মুসলমানের শত্রু। সেদিন ৫ মে দিবাগত রাত্রে পুলিশ রেব বিজিবির সংগে রজনীকান্তও অংশ নিয়াছিল। পরদিন সকালে আমার মর্নিং ওয়াকের পর সে এই ৫০ হাজার লাছ গুম করে। তাই কুন ডেডবডি লইয়া আমরা মিছিল করতে পারি নাই।

এই ৫০ হাজার শহীদের পরিবারের সদস্যরা তাহলে কেন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করছে না, এমন প্রশ্নের জবাবে আনোয়ার বলেন, রজনীকান্ত উহাদের পরিবারকেও গুম করিয়া থাকতে পারে।

অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইনে রজনীকান্তের বিচার দাবী করে মতি কণ্ঠ আনোয়ার বলেন, লাছ গুমকারী রজনীকান্তের ফাসি চাই দিতে হবে।

এ বেপারে রজনীকান্তের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মতিবেদককে বলেন, মতি কণ্ঠ আনোয়ারের সংগে আমার ৬ মে সকাল বেলা মতিঝিলে দেখা হয়েছিল। সে আমার নিকট হতে দশ টেকা ধার লইয়া বাদাম বুট কিনল। তারপর বাদামওলার নিকট হইতে এক টেকা চান্দা আদায় করল। তারপর আমায় বলল, তুমাদের এই ঋন কুনদিন শুধ হবে না।


খোকা বলছেন গজব, মকসুদ বলছেন ষড়যন্ত্র

নিজস্ব মতিবেদক

রানা প্লাজা ধ্বস ও আসন্ন ঘুর্নিঝড়কে বাংগালী জাতির উপর আল্লাহর গজব হিসাবে ঘোষনা করেছেন বৃহত্তর জামায়াতের বিএনপি শাখার নায়েবে আমীর আল্লামা সাদেক হোসেন খোকা।

আজ এমপেরিয়াল হোটেল এন্ড গেষ্ট হাউসে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আল্লামা খোকা।

খোকা বলেন, বাকশালের সবচেয়ে প্রভাবশালী সদস্য যুবলীগের সাভার অঞ্চলের আমীর সোহেল রানার রানা প্লাজা বাতাসের ঠেলায় তাসের ঘরের মত হুড়মুড় করিয়া ভাংগিয়া পড়ল। অথচ আশেপাশে কুন বিলডিঙ্গে কুন সমস্যা দেখা দেয় নাই। কেন এইরুপ ঘটল? কারন ইহা আল্লাহ পাকের গজব।

আবেগঘন কণ্ঠে খোকা বলেন, বৃহত্তর জামায়াতের যাবতীয় খানকির পোলায়ে আমীরদিগকে প্রহসনের বিচারের নামে জেলে নানা বিলাস বেসনের বন্দবস্ত করার শাস্তি হিসাবেই আল্লাহ এই গজব নাজিল করেছেন। তাদের অন্তত এক বছর আগে ঝুলাইয়া দিলে এইসব গজব পড়ত না। অহেতুক বিলম্ব করার কারনে ক্ষিপ্ত হয়ে আল্লাহ আইন নিজের হাতে তুলিয়া নিছেন। যত দ্রুত সম্ভব গোলাম আজম নিজামী ইহাদিগকে ফাসিতে ঝুলাইয়া জাতিকে এই গজবের হাত হতে রক্ষা করতে হবে।

পাকিস্তান আমলের গজব সুচিত্রা সেন

এদিকে এক পৃথক সংবাদ সম্মেলনে উপমহাদেশের বিশিষ্ঠ ইতিহাসবীদ, কলামিষ্ট ও গান্ধীবাদী আন্দলনের প্রবাদ পুরুষ সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, আসন্ন ঘুর্নিঝড় 'মহাসেন' কুন গজব নহে, ইহা ষড়যন্ত্র।

ইতিহাস হতে তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে মকসুদ বলেন, বাংলা পুর্বে ছিল পাল রাজাদের তালুক। কিন্তু ইনডিয়া হতে সেন রাজারা আসিয়া সোনার বাংলা ছারখার করে। রামুর পাচ দশটা পেগডা পুড়ান নিয়া লোকজন খালি চিল্লাপাল্লা করে, অথচ এই ইনডিয়ার সেনের দল বাংলায় হাজার হাজার পেগডা পুড়াইয়া সেই কয়লা দিয়া দন্ত মাজিয়াছিল।

ইনডিয়ার প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মকসুদ বলেন, হাজার হাজার বছর আগে সেন রাজাদের আক্রমন দিয়া যা শুরু হয়েছিল, পাকিস্তান আমলে তা এক ভিন্ন রুপ ধারন করে। আমাদের যৌবন কালে ইনডিয়া সুকৌশলে সুচিত্রা সেন নামক আরেক সেনকে লেলাইয়া দেয়। তার মধুর মদির কটাক্ষে ঘায়েল হয়ে যৌবনের সেসব রাত্র কালে শান্তি মত ঘুম হত না। অজস্র কুলবালিশ সুচিত্রা সেন কর্তৃক সৃস্ট অশান্তির কবলে পড়িয়া নষ্ট করেছি। আমার পিতা আমায় একদিন আলটিমেটাম দিয়া বললেন, টেকা কি বলদের পুটু দিয়া বাইর হয় যে তুমায় সপ্তাহে একটা করিয়া শিমুল তুলার কুলবালিশ খরিদ করিয়া দিব রাশকেল? কেন আমায় সেদিন পিতার জুতা খাইতে হইয়াছিল? কেবল মাত্র সেন বংশের সুচিত্রা সেনের কারনে। সে ছিল পাকিস্তান আমলের গজব। আমার মত শত শত তৌহিদী যুবক তার কারনে নিজেকে কখনও নিজের হস্তে কখনও পিতার হস্তে তুলাধুনা করিয়া স্বাস্থ্য হারাইয়াছিল। তুলার দোকানী ছাড়া আর কারও কুন উপকার সুচিত্রা সেন করে নাই।

আসন্ন ঘুর্নিঝড় 'মহাসেন'কে সেন রাজা ও সুচিত্রা সেনের তান্ডবের ধারাবাহিকতার অংশ ঘোষনা করে মকসুদ বলেন, এই ঝড় হিন্দু ঝড়, এই ঝড় ইনডিয়ার ঝড়। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইহা ইনডিয়া ও বাকশালের যৌথ ষড়যন্ত্র। এ বেপারে বাকশালী সরকারের নিকট হতে প্রেস নোট দেখতে চাই।

ভারতের প্রধান মন্ত্রী মনমোহন সিংহকে উদ্দেশ করে মকসুদ বলেন, এখনও সময় আছে, মহাসেন নাম পরিবর্তন মহসিন রাখুন, ৯১% মুসলমানের দেশকে হিন্দু ঝড়ের হাত থেকে রক্ষা করুন। মুসলমান ঝড়ের আঘাতে লন্ডভন্ড হতে রাজি আছে, কিন্তু হিন্দু ঝড়ের বেআদবী সহ্য করব না।

ওয়াশিংটন হতে এক প্রতিক্রিয়ায় সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল বাবুনাগরিক শক্তির আমীর, বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতীবীদ ও গ্রামীন বেংকের বিতাড়িত মালিক ইউনূস বাবুনগরী বলেন, মহাসেন বাকশালী সরকারের বের্থতার শাস্তি। আজ আমায় গ্রামীন বেংক হতে কানে ধরিয়া বাইর করিয়া না দিলে এইসব ঘুর্নিঝড় হইত না। ভাল হইছে ঝড় আসতেছে। শেখের বেটীর মুখ কালা করিয়া দে রে মহাসেন।


আশংকায় আলাল ও মাহমুদুর

নিজস্ব মতিবেদক

কাশিমপুর কারাগারে বন্দী বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর বিএনপি শাখার সমকামী নায়েবে আমীর ব্রাদারফাকার সাকার কারা সংগীতে পরিনত হওয়ার আশংকায় উদ্বিগ্ন সময় কাটাচ্ছেন বিএনপি শাখার যুব দল আমীর আল্লামা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও বংগবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিতসা সেবা গ্রহনকারী বৃহত্তর জামায়াতে ইসলামীর খানকির পোলায়ে সালাফিয়ে আমীর এবং ইসলাম ও জ্বালানী বিশেষজ্ঞ 'বংগ ছুছুন্দর' মাহমুদুর রহমান।

টেনশনে আছেন আলাল

গোয়েন্দা পুলিশের রিমান্ডে অবস্থান রত আলালের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি মতিবেদককে বলেন, আমায় কারাগার হতে জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর পর কারাগারের সম্মুখ হতে আটক করে রিমান্ডে নিয়ে আসে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ। তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমায় রিমান্ডে না নিলে আমায় কাশিমপুর কারাগারে ব্রাদারফাকার সাকার কারা সংগীর পরিনতি বরন করতে হত।

আবেগঘন কণ্ঠে আলাল বলেন, বেদনা মধুর হয়ে যায়, ডিবি যদি দেয়।

বংগবন্ধু মেডিকেলে আটক বংগ ছুছুন্দর মাহমুদুর রহমানের সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি উত্তেজিত কণ্ঠে মতিবেদককে বলেন, সারা দুনিয়া আমার পানে চাইয়া ছিল। এমনেষ্টি হিউমেন রাইটস জাতিসংঘ সবার মুখে মুখে ফিরত মাহমুদুর রহমানের নাম। কিন্তু সাভারের রানা প্লাজার কারনে আজ কেউ আর আমায় লইয়া কথা বলে না। দিবস রজনী আমি আশায় আশায় থাকি, কারওয়ানবাজারের সর্দার মতিচুর আমার জন্য দুই কলম রচনা করবে। কিন্তু কারওয়ানবাজার দুরে থাক, দৈনিক আমার দেশের অনলাইন শাখা পর্যন্ত আমারে নিয়া কিছু বলে না। তারা খালি রানা প্লাজা আর হেফাজতে ইসলামের কথা বলে। আর তার সংগে যোগ হয়েছে ব্রাদারফাকার সাকার কারা সংগী হওয়ার সম্ভাবনা।

অশ্রু মুছে মাহমুদুর বলেন, তাও ভাল শুনলাম মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল গ্রেফতার হইছে। সাকার ভুতপুর্ব সেবকের নামও ছিল আলাল। এক আলাল জেলান্তরে, অন্য আলাল হাজির ঘরে। মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আমার তুলনায় অনেক ফরসা কুমল ও গোলগাল। আশা করি তাকেই সাকার নিকট পাঠান হবে। ঘরে লাউ থাকলে কি কেউ করল্লা দিয়া কাতল মাছ রান্না করে?

চিকিতসার মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় ডিবির রিমান্ডে যাওয়ার আকাংখা বেক্ত করে মাহমুদুর রহমান বলেন, চার মাস আমি নিজ অফিসে বন্দী ছিলাম, ডিবির রিমান্ড আমার নিকট পাচের নামতার নেয় সুজা। কিন্তু কারাগারে পাঠাইয়া দিলে ব্রাদারফাকার সাকার শাকালাকা বুমবুমের অত্যাচারে আমি শহীদ হয়ে যাব।

কাশিমপুর কারাগারে নিজ কারা কক্ষে আয়জিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের মামলায় বন্দী ব্রাদারফাকার সাকা বলেন, আমি শুনলাম আলাল গ্রেফতার হইছে। আমি এখন ঝুম্পা লাহিড়ীর The Namesake পাঠ করব। কেউ আমায় দিষ্টাপ দিও না।


'মহাসেন' রোহিংগাদের উপর বুদ্ধের গজব: অং সান সু চি

নিজস্ব মতিবেদক

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশের দিকে ধেয়ে আসা ঘুর্নিঝড় 'মহাসেন'কে রোহিংগাদের উপর বুদ্ধের গজব হিসেবে ঘোষনা করেছেন মিয়ানমারের নোবেল বিজয়ী বিরুধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি।

আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সু চি।

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী সু চি বলেন, যে সকল রোহিংগাকে মারিয়া পিটিয়া আরাকান ছাড়া করলাম, তারা দলে দলে গিয়া পৃথীবির সর্বাপেক্ষা বিখ্যেত রোহিংগা ইউনূস বাবুনগরীর তাবুতে আশ্রয় লইল। এখন এমন অবস্থা দাড়াইছে যে আরাকান হইতে কক্সবাজারে রোহিংগা বেশী। আর সেই কারনেই বুদ্ধের গজব কক্সবাজার ও আরাকানের দিকে আসিতেছে। কামিং ছুন।

ঘুর্নিঝড় 'মহাসেন'কে স্বাগত জানিয়ে সু চি বলেন, রোহিংগা পল্লী উড়াইয়া নিয়া যাইতে না পারলে কিসের ঘুর্নিঝড়?

ইউনূসের কুশ পুত্তলিকা মাটিতে পুঁতছেন অং সান সু চি

সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল বাবুনাগরিক শক্তির আমীর, বাংলাদেশের এক মাত্র নোবেল বিজয়ী অর্থনীতীবীদ ও গ্রামীন বেংকের বিতাড়িত মালিক ড. মুহম্মদ ইউনূস বাবুনগরীর একটি কুশ পুত্তলিকা নিজের বাড়ির বাগানে দাফন করে সু চি বলেন, রোহিংগা রাজ ইউনূস বেশী বাড়াবাড়ি করলে তারে গাইড়ালবাম। সে আমার দেখাদেখি নোবেল পাইল, ফ্রিডম পদক পাইল, কংগ্রেসের সোনা পাইল। আমি তখন বন্দী কারাগারে, আর সে মুক্ত বিহংগ। অথচ আমি যা করি সে তাই করে। কিন্তু জেনে রাখ রোহিংগা রাজ, সয়ং প্রেসিডেন্ট ওবামা আমায় চুম্বন দিয়াছে। এখনও আমি আগাইয়া তুমি পিছাইয়া। আমার সংগে ফাইট দিতে গেলে আগে ওবামার চুমা মেনেজ কর।

ইউনূস বাবুনগরীকে সতর্ক করে দিয়ে সু চি বলেন, তুমি গ্রামের ছেলে গ্রামীন ফোন নিয়া থাক। বড়দের সংগে পাট নিও না। আমি অং সান সু চি, ডাইল দিয়া ভাত খাইয়া লুংগিতে হাত মুছি। অতএব হুশিয়ার।

এ বেপারে ওয়াশিংটন থেকে এক তাতক্ষনিক প্রতিক্রিয়া ইউনূস বাবুনগরী হাসিমুখে মতিবেদককে বলেন, সু চি রাগ করেছে। দেখি তাকে গ্রামীন চেকের একটি ফুরফুরা লুংগি উপহার দিব। গরম পড়েছে তাই সকলের মিজাজ খারাপ।

সু চিকে মধুর বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে ইউনূস বলেন, লোকে বলে রাগ নাকি অনুরাগের আয়না।


মালটা ফ্রেস: মুন্নী সাহা

নিজস্ব মতিবেদক

সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ হতে ১৭ দিন পর জীবীত উদ্ধার কৃত রেশমা সম্পর্কে এটিএন সাংবাদিক ও সাবেক স্বৈরাচার রাস্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পরিচিত বেক্তি মুন্নী সাহা বলেছেন, মালটা ফ্রেস।

আজ সাভারের ধ্বংস স্তুপের সামনে মুন্নী সাহা এ কথা বলেন।

মুন্নী সাহা বলেন, ১৭ দিন ধ্বংস স্তুপের নিচে খানা খাদ্য পানীয় এটিএন বেতীত বাচিয়া ছিল রেশমা। ইহা এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনা যে আমি কুন মতেই বিশ্বাস যাইতে পারি না। তার চেহারা দেখেন, কি রকম জেল্লা বাইর হইতেছে। দেখলে মনে হয় এই মাত্র পারসনা হইতে বাইর হইল। গার্মেন্টসের মাইয়া ১৭ দিন না খাইয়া এত ফ্রেস কেন?

আবেগঘন কণ্ঠে মাইক হাতে মুন্নী সাহা বলেন, বিগত ৪৫টি বতসর হেন স্নো পাউডার, হেন মলম মশলা নাই যা আমি মাখি নাই। তারপরও টিভিতে আমার চেহারা দেখলে কুলের বাচ্চা পেন্ট নষ্ট করে। বাচ্চার পিতা মাতা চেনেল চেঞ্জ করিয়া দেয়। রিকশায় পাচ টেকা বেশী ভাড়া দিতে হয়, সিএনজি চালক আমায় পেসেঞ্জার লইতে চায় না। গ্রামে গঞ্জে বাচ্চাদিগকে রাত্র কালে ঘুম পাড়ানর সময় বলা হয়, ঘুমা রে গেদা ঘুমা নাইলে মুন্নী সাহা আইব। একমাত্র কদর করেন পল্লীবন্ধু এরশাদ। অথচ রেশমা ১৭ দিন না খাইয়া একদম ফ্রেস। এইটা আবার কুন বিচার?

মুন্নী সাহা

ক্ষুব্ধ কণ্ঠে মুন্নী সাহা বলেন, স্বয়ং পল্লীবন্ধুও রেশমার ফ্রেস থাকা নিয়া আমায় বকাবকি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন ডিম দুধ কলা জুছ খাইয়াও তিনি ফ্রেস থাকতে পারেন না, ঘন ঘন লেজার মারিয়া চামড়া টান করতে হয়, আর ১৭ দিন না খাইয়া কুন সাহসে রেশমা ফ্রেস থাকে? সর্বপরি জীবনে এই প্রথম বার তিনি আমায় বলিয়াছেন, মুন্নী একটু ফ্রেস হইতে চেস্টা কর।

গায়ে উড়ে এসে বসা শত শত মাছি সরাতে সরাতে মুন্নী সাহা বলেন, আমার সন্দেহ রেশমা ঐ ধ্বংস স্তুপে আটক ছিলই না। তাকে বাকশালী সরকার গুপনে এই চিপার মধ্যে ঢুকাইয়াছে। এই কারনেই মালটা এত ফ্রেস।

রেশমা ফ্রেস হলে মুন্নী সাহার কি সমস্যা, দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদতে কাদতে মুন্নী সাহা বলেন, কিছু কথা থাক না গুপন।

No comments:

Post a Comment