Monday, July 27, 2015

সিন্ডিকেট করে অসৎ ব্যবসায়ীরা সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই অবৈধ মজুদ করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে, টিসিবিও রহস্যজনক কারণে ল্যাংড়া-লুলাIt is the same story across the border.Promoter Builder Mafia Raj unabated with political protection.Saifullah Mansur writes and sends it to us.

It is the same story across the border.Promoter Builder Mafia Raj unabated with political protection.Saifullah Mansur writes and sends it to us.
Palash Biswas

সিন্ডিকেট করে  অসৎ ব্যবসায়ীরা  সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই অবৈধ মজুদ  করে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি  করছে, টিসিবিও রহস্যজনক কারণে ল্যাংড়া-লুলা



সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বছরে ৫৫-৫৮ লাখ টন ভোগ্যপণ্য আমদানি হলেও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ১১ মাসে তা পৌঁছে ৫৯ লাখ টনে। আর জুন মাসসহ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের শেষ পর্যন্ত ভোগ্যপণ্য আমদানি ৬০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা।
বিশেষত, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসকে কেন্দ্র করে ভোগ্যপণ্যের আমদানি রেকর্ড ছাড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই চাহিদার চেয়ে বেশি আমদানি হয়েছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসকে সামনে রেখে। গত এপ্রিল-মে- এই দু'মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি ছোলা, সাড়ে ৫ হাজার মেট্রিক টন খেজুর, ৫৭ হাজার মেট্রিক টন সয়াবিন এবং ১ লাখ মেট্রিক টনের বেশি চিনি আমদানি হয়েছে। রেকর্ড পরিমাণ আমদানির পাশাপাশি পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ-এ পণ্য সঙ্কটের কোনো আশঙ্কা ছিল না। কিন্তু আমদানিকারক ও কিছু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে বাজার মনিটরিং ফাঁদ এড়াতে এবার আগেভাগেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় তারা। 
গত এপ্রিল ও মে-২০১৫ মাসে বন্দর দিয়ে ছোলা আমদানি হয়েছে ১ লাখ ছয় হাজার মেট্রিক টন, খেজুর আমদানি হয়েছে ৫ হাজার চারশ মেট্রিক টন। সয়াবিন ৫৬ হাজার মেট্রিক টন এবং চিনি আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন। আশা করা হয়েছিল- যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হয়েছে তাতে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম সহনশীল থাকবে। কিন্তু আসলে তা থাকেনি।
ব্যবসায়ীরা জানায়, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে দেশে ৬০ থেকে ৭০ হাজার মেট্রিক টন ছোলা, ৩ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেল, দেড় থেকে দুই লাখ মেট্রিক টন চিনি এবং ১৫ হাজার মেট্রিক টন খেজুরের চাহিদা থাকে।
কিন্তু এত রেকর্ড পরিমাণ আমদানির পরও পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসকে সামনে রেখে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে আমরা মনে করি, আমদানিকারকদের সিন্ডিকেটের কারণেই দাম বেড়েছে। 
জানা গেছে, পবিত্র রোযা ও পবিত্র ঈদ উনাদেরকে উপলক্ষ করে ভোগ্যপণ্যের বড় ব্যবসায়ীরা বিশাল মজুদদারী গড়ে পণ্য আটকে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে বাজার থেকে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি এঁটেছে। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও রিপোর্ট দেয়া হয়েছিল, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসকে সামনে রেখে অসৎ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পণ্যের দাম বাড়াতে তৎপর। আর এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী। এদের একটি তালিকাও গোয়েন্দা সংস্থা সরকারের কাছে দিয়েছে। কিন্তু সরকারি প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। 
চিনি, ছোলা, তেল, খেজুর, ডালসহ পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে অধিক ব্যবহৃত বেশিরভাগ জরুরী পণ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন তাদের হাতে। চাহিদার প্রায় ৮০ শতাংশ পণ্যই এসব ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে। 
ছোলার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র ৬ থেকে ৮ জন ব্যবসায়ী। এছাড়া মাত্র ৮ জন ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে মটর ডালের বাজার। আর মসুর ডালের বাজার মাত্র ১০ জন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি। 
ভোজ্যতেলের ব্যবসার নিয়ন্ত্রক মাত্র ১২ ব্যবসায়ী। ১০ মাসে দেশে আসা ভোজ্যতেলের ৮০ শতাংশ মজুদ এই ১২ জন ব্যবসায়ীর হাতে জিম্মি। আর চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র ৭ জন ব্যবসায়ী। 
এসব অসৎ ব্যবসায়ী নিত্যপণ্যের বিশাল মজুদ গড়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে অল্প অল্প করে পণ্য ছাড়ছে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সরকারি সরবরাহকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ টিসিবি'র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার কথা থাকলেও বরাবরই তারা ব্যর্থ হচ্ছে। টিসিবি'র কাছে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্যের মজুদ না থাকাটাও তাদের বড় ধরনের সীমাবদ্ধতা। এক্ষেত্রে টিসিবি'কে মজুদ বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু টিসিবিও রহস্যজনক কারণে ল্যাংড়া-লুলা হয়ে থাকছে।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসে যেকোনো পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকলেও বরাবরই অনৈতিক এই কর্মটি অসৎ ব্যবসায়ীরা করে যাচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এটি সরকারের বড় ধরনের ব্যর্থতা। প্রয়োজনীয় বাজার মনিটরিং না থাকা এবং অসৎ ব্যবসায়ীদরকে দমনে সরকারের সদিচ্ছার অভাবেই এসব ব্যবসায়ীরা যা খুশি তাই করার মানসিককতা পেয়ে বসেছে। যেসব ব্যবসায়ী নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নিত্যপণ্যের অবৈধ মজুদ গড়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ার কারণে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এসব অসৎ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিয়ে বাজার স্বভাবিক রাখা সরকারের অবশ্য কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত।
বিশ্বের সব দেশেই যেকোনো উৎসবকে ঘিরে মূল্য ছাড়ের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু বাংলাদেশর ক্ষেত্রেই এর ব্যতিক্রম পরিলক্ষিত হয়। অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ীদের হিসাব হলো- বেশি সেল, বেশি লাভ। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে তার উল্টোটা হয়ে থাকে। ব্যবসায়ীদের অনৈতিক লাভের মানসিকতাই এর জন্য দায়ী। তাদের এই মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তবে এক্ষেত্রে মূলত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার আদর্শ- ইহসান করা ও হক্কুল ইবাদের ধারণা ও মূল্যবোধের প্রচার ও বিস্তার করতে হবে। বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারকে এর পৃষ্ঠপোষক হতে হবে। এটা সরকারের অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য। তা না হলে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কখনেই ঠেকাতে পারবে না।

--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment