Friday, March 11, 2016

ক্ষমতার রাজনীতিতে জব্বর মেরুকরণের বিষবৃক্ষে ভয়ন্কর ফলিডল ফলন,বাতাসে বিষ! বাংলা দাপাচ্ছে অন্ধকারের জীব জন্তুরা,দংশিছে মনুষত্ব! ইডেনের পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি তে কলকাতাতেও মৌলবাদী সন্ত্রাসের কালো ছায়া! ‘মুসলিম বিদ্বেষী’ মন্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প সঙঘ পরিবারের মুখপাত্র!

ক্ষমতার রাজনীতিতে জব্বর মেরুকরণের বিষবৃক্ষে ভয়ন্কর ফলিডল ফলন,বাতাসে বিষ!
বাংলা দাপাচ্ছে অন্ধকারের জীব জন্তুরা,দংশিছে মনুষত্ব!
ইডেনের পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি তে কলকাতাতেও মৌলবাদী সন্ত্রাসের কালো ছায়া!
'মুসলিম বিদ্বেষী' মন্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প সঙঘ পরিবারের মুখপাত্র!
পলাশ বিশ্বাস
আন্দোলন ব্যক্তি নির্ভর হলে শাসকের সব থেকে বড় সুবিধা ব্যক্তিকে ভ্যানিশ করে দিতে পারলে,আন্দোলনও ভ্যানিশ।বেসিক ইস্যু ব্যাতিরেক কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে আন্দোলনের বারোটা বাজা সময়ের অপেক্ষা।

আজকালের প্রতিবেদনঃ
কানহাইয়া কুমার, অনির্বাণ ভট্টাচার্য সমেত আট ছাত্রের ওপর থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল জে এন ইউ। আফজল গুরুর সমর্থনে জে এন ইউ ক্যাম্পাসে বিতর্কিত অনুষ্ঠান করার অভিযোগ ছিল এঁদের বিরুদ্ধে। সেই অনুষ্ঠান নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এর পরই সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হল। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তাঁদের '‌বেকসুর'‌ ঘোষণা করা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। ৯ ফেব্রুয়ারি সংসদ আক্রমণে দোষী আফজল গুরুর ফাঁসির তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে জে এন ইউ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠান করার অভিযোগ ছিল ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার এবং তাঁর সাত সঙ্গীর বিরুদ্ধে। অনুষ্ঠানে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্তে ১২ ফেব্রুয়ারি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেন জে এন ইউ কর্তৃপক্ষ। কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরই আট ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা হস্টেলে থাকতে পারবেন বলে জানানো হয়। ‌‌

জাতি ধর্ম গ্রাস করছে মানুষের বিবেক,স্মৃতি,দিলোদিমাগ এবং অবশ্যই মনুষত্ব।কানহাইয়া এবং অনির্বাণদের সাময়িক বহিস্কার রদ করল জেএনইউ।লাগাতার কানহাইয়াকে আক্রমণ করে সঙ্ঘ পরিবার লাল নীল জোটে ফাটল ধরাতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই পিছু হটা শুরু হল এবং বহল রইল বর্ণ বৈষম্যের মনুস্মৃতি শাসন।

জাতের নামে বজ্জাতি যখন ক্ষমতার রাজনীতি,সহিংসতা ও সন্ত্রাসে জীবনজীবিকা রক্তাক্ত না হওটাই অঘটন।
যমজ সন্তান মনুস্মৃতির ,তাঁরাই উলটে পালটে মনুস্মতি শাসনের মুক্তবাজার ধ্বজা পতপত উড়িযে দিচ্ছে।

গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ধুয়ো তুলে রাজনীতি সেই ধর্মোন্মাদি মেরুকরণের খেলায় জনগণকে বিভ্রান্ত করলেও ক্ষতি বিশেষ ছিল না,জাতি ধর্মের নামে রীতিমত রক্তনদীর মোহানা র উল্টোরথ শুরু হয়ে গেল।

ভারত-‌পাকিস্তান ম্যাচ ধরমশালায় নয়, ইডেনে হবে ঘোষণা করেছে আই সি সি। কিন্তু এই ম্যাচ ঘিরে ডামাডোল থেমে গেছে এমনটা নয়।

ইডেনের পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি তে কলকাতাও মৌলবাদী সন্ত্রাসের কালো ছায়া

হুমকির উত্স কিন্তু হিন্দুত্বের গা ঝাড়া দিয়ে জেগে ওঠা ইসলামিক স্টেট।বাংলার মানুষ,বাংলার সরকার,বাংলার প্রশাসনকে,বাংলার প্রগতি,বাংলার ঐতিহ্যকে তুড়ি মেরে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রদের শিক্ষকদের মারার হুমকি দিছ্ছিল এতদিন এবং প্রকাশ্য দিবালোকে  দর্শক পুলিশের উপস্থিতিতে মারছিলও,তাঁদেরই হুল্কার কোলকাতায় ভারত পাকিস্তান ম্যাচ হতে দেওয়া হবে না।এই হুমকি যারা দিয়েছেন,তাঁদের বংশবদেরা বাংলা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

আবার পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি দিল সন্ত্রাসবাদ–‌বিরোধী গোষ্ঠী!‌ এর আগে টোয়েন্টি ২০ বিশ্বকাপের ভারত-‌পাকিস্তান ম্যাচ যখন ধরমশালায় হওয়ার কথা ছিল, তখন এই সন্ত্রাসবাদ–‌বিরোধী গোষ্ঠীই হুঙ্কার দিয়েছিল, কিছুতেই পাকিস্তানকে খেলতে দেবে না ধরমশালায়। তেমনটা ঘটলে, ম্যাচের আগেই পিচ খুঁড়ে দেওয়া হবে।

বুধবার ম্যাচ ধরমশালা থেকে ইডেনে সরে যাওয়ার পরও এই হুমকি দেওয়ার পর্ব থামেনি।

ক্ষমতার রাজনীতিতে মেরুকরণের বিষবৃক্ষে ফলিডল ফলন,বাতাসে বিষ
বাংলা দাপাচ্ছে অন্ধকারের জীব জন্তুরা,দংশিছে মনুষত্ব
ইডেনের পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি তে কলকাতাও মৌলবাদী সন্ত্রাসের কালো ছায়া


এই সন্ত্রাসবাদ–‌বিরোধী গোষ্ঠীর প্রেসিডেন্ট বীরেশ শান্ডিল্য জানিয়েছেন, '‌আমরা ভারতের কোনও শহরে পাকিস্তানকে খেলতে দেব না। যতক্ষণ না ২৬/‌১১-‌র মূল চক্রী হাফিজ সঈদকে ভারতীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এর আগে আমরা বলেছিলাম, ধরমশালার পিচ খুঁড়ে দেব। এবার জানিয়ে দিচ্ছি, ইডেনেও একই কাণ্ড আমরা করব।'‌

ইতিমধ্যেই নিজেদের গোষ্ঠীর লোকেদের কলকাতায় পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তবে, কলকাতা পুলিসের তরফে এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য এখনও করা হয়নি। তবে পরিস্থিতি যে খুবই জটিল, তা বোঝা যাচ্ছে।

এমনিতেই নিরাপত্তা নিয়ে ভারত সরকারের কাছ থেকে লিখিত প্রতিশ্রুতি চেয়েছে পাক বোর্ড।

তার ওপর এই সন্ত্রাসবাদ–‌বিরোধী গোষ্ঠীর হুঙ্কার।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ক্রিকেট দলের টি ২০ বিশ্বকাপের জন্য ভারতে খেলতে আসা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ইতি পড়ল। পাক ক্রিকেট দলকে ভারত সফরের ছাড়পত্র দিল সে দেশের সরকার।
পাক ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান নজম শেঠি এদিন দীর্ঘ বৈঠক করেন দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী চৌধুরি নিসার আলি খানের সঙ্গে। বৈঠকের পর তিনি ভারত সফরে পাক দল যাচ্ছে বলে জানান। বলেন, আজ রাতে দুবাই হয়ে সেখান থেকে কলকাতা যাবেন পাক ক্রিকেটাররা।
ভারতের তরফ থেকে নিরাপত্তার পূর্ণ গ্যারান্টি, স্পষ্ট আশ্বাস মেলার পরই সফরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। শেঠি বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকা সব ক্রিকেট প্রেমীকে সুখবর দিচ্ছি যে, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক ক্রিকেট দলকে ভারতে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এও বলেন, নয়াদিল্লিতে পাকিস্তান হাইকমিশনারও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
এর পাশাপাশি নয়াদিল্লিতে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপও ওই বৈঠকের পর বিবৃতি দিয়ে টি-২০ বিশ্বকাপ খেলতে আসা সব দলকেই পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দেওয়ার কথা পুনরায় জানান। বলেন, পাক হাই কমিশনার আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে আজ কথা বলেছেন। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব তাঁকে জানিয়ে দিয়েছেন, উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে।
এদিকে পাক দলের ভারতে পা রাখতে ছাড়পত্র মেলায় জটিলতার ফলে আগামীকাল পাক দলের গা ঘামানোর ম্যাচটি হতে পারছে না। তবে রবিবার পাক দল শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় প্র্যাকটিস ম্যাচটি খেলবে।


আজকালের প্রতিবেদনঃ
যমুনার চরকে ক্ষতবিক্ষত করে শুরু হয়েছে '‌আর্ট অফ লিভিং'‌-এ‌র বিশ্ব সাংস্কৃতিক উৎসব। তিন দিনের মহাযজ্ঞ। বিতর্কিত এই কর্মকাণ্ডের বড় অতিথি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। '‌আর্ট অফ লিভিং'‌-‌এর প্রাণপুরুষ আধ্যাত্মিক গুরু শ্রীশ্রীরবিশঙ্করকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিল আজ বিকেলেই। গতকাল একেবারে বেঁকে বসেছিলেন শ্রীশ্রী। বলেছিলেন, দরকার হলে জেলে যাবেন, তবু এক পয়সাও দেবেন না। শ্রীশ্রী-‌র মন্তব্যকে ভালভাবে নেয়নি পরিবেশ আদালত। জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন বিচারক স্বতন্ত্র কুমারের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ অত্যন্ত কড়া ভাষায় বলেছে, ‌ওঁর মতো মানুষ যদি এসব বলেন তাহলে আইনের অবমাননা হয়। পরিবেশ আদালতের ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার চেষ্টা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর আজ রণং দেহি মূর্তি ঝেড়ে ফেলে আধ্যাত্মিক গুরু নমনীয়। তাঁর সংগঠনের তরফে ট্রাইব্যুনালে জানানো হয়, এত টাকা হাতে নেই। আজ ২৫ লাখ টাকা দিতে পারি। পরিবেশ আদালত তা মেনেও নিয়েছে। ক্ষতিপূরণের বাকি অঙ্ক আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে। ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দিয়ে যমুনার চরের ওই হাজার একর এলাকা জুড়ে যেন একটি জৈব-‌বৈচিত্র‌্য উদ্যান তৈরি হয়, এমন দাবিও করা হয়েছে '‌আর্ট অফ লিভিং'‌-‌এর পক্ষ থেকে। আর পরিবেশ আদালত জানিয়েছে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বাকি অঙ্ক না জমা পড়লে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের থেকে শ্রীশ্রী-‌র সংগঠন যে আড়াই কোটি টাকার অনুদান পেয়েছে, সেটি আদায় করা হবে। সংসদেও আজ হইচই হয় এই নিয়ে। প্রশ্ন ওঠে, রবিশঙ্কর কি আইনের ঊর্ধ্বে?‌ জে ডি ইউ প্রধান শারদ যাদব বলেন, আদালত বলছে। তবু ক্ষতিপূরণ দেবেন না বলেছেন রবিশঙ্কর‌। ওঁকে জেলেই পাঠানো উচিত। জাতীয় পরিবেশ আদালতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় শ্রীশ্রীরবিশঙ্করকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন সি পি এমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। বলেছেন, মোদির পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া শ্রীশ্রী-‌র '‌আর্ট অফ লিভিং'‌ যা করল তাতে সাধারণ মানুষের কাছে ভাল বার্তা পৌঁছল না। ধারাবাহিক টুইটে আজ আধ্যাত্মিক গুরুর পাশেই দাঁড়িয়েছেন সংসদীয় বিষয়কমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। জানিয়েছেন, '‌ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেশের গৌরব বাড়াবে। এর উদ্‌যাপন হোক!‌'‌ আর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, '‌এই ঘটনায় বিতর্কের কোনও মানেই হয় না। শ্রীশ্রীরবিশঙ্কর বিতর্ক মেটানোর জন্য সুপরিচিত। বিতর্ক তৈরি করার জন্য নন!‌'‌‌‌‌

উল্লেখ্য,গুরুত্বপূর্ণ প্রাইমারির আগে ফের 'মুসলিম বিদ্বেষী' মন্তব্য করে নতুন করে সমালোচনা উসকে দিলেন আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলে প্রার্থিতার দৌড়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান প্রার্থীদের বিতর্কে ট্রাম্প সোজাসাপ্টা মন্তব্য করেছেন, 'ইসলাম আমাদের ঘৃণা করে।' এর আগে চলতি সপ্তাহে একই মন্তব্য করে নতুন এ সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। আর বিতর্কের সময় নিজের মন্তব্যের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে তাতে যেন আরো জ্বালানি জোগালেন ট্রাম্প।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা, ইলিনয়েস, মিসৌরি, নর্থ ক্যারোলিনা ও ওহিও প্রাইমারি। এদিন জয় নিশ্চিত করতে পারলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বৈরথে নামার পথ অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে ট্রাম্পের। আর মার্কো রুবিওর জন্য এ দিন জয় নিশ্চিত করতেই হবে। না হলে তিনি ছিটকে পড়বেন মনোনয়নের দৌড় থেকে।
এ প্রাইমারিকে সামনে রেখেই রিপাবলিকান দলে প্রার্থিতার দৌড়ে থাকা নেতারা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাতে মিয়ামিতে বিতর্কে নামেন। এদিন পারস্পরিক আক্রমণে না মেতে তারা কর্মী ভিসা, সামাজিক নিরাপত্তা, ইসলাম ও পররাষ্ট্রনীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কথা বলেন।
বিতর্ক চলাকালে সঞ্চালক জ্যাক ট্যাপার ইসলাম সম্পর্কে ট্রাম্পের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চাইলে তিনি বলেন, আমার ধারণা, মুসলিমদের অনেকেই আমাদের ঘৃণা করেন। এ ধর্মে ব্যাপক হিংসা প্রোথিত এবং এ সপ্তাহে সিএনএন সাংবাদিক অ্যান্ডারসর কুপারকে যা বলেছি, সে কথাতেই আমি থাকছি।
এ সময় বাঁচা মরার লড়াইয়ে থাকা মার্কো রুবিও আক্রমণ করে বসেন ট্রাম্পকে। ফ্লোরিডার এই সিনেটর বলেন, কোনো রকম চিন্তা না করে কথা বলাটা প্রেসিডেন্টসুলভ আচরণ নয়। প্রেসিডেন্ট কখনোই মন যা চায়, তাই বলতে পারেন না। তার বক্তব্যের একটা বিশেষ প্রভাব রয়েছে মানুষের ওপর।
তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিকভাবে সংশোধিত হওয়ায় আমার কোনো আগ্রহ নেই। কোনো বিষয়ে ভিন্নভাবে কথা বলা খুব সহজ। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া। আমি ব্যক্তিগত সংশোধনে আগ্রহী।
আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী, ১৫ মার্চের প্রাইমারির পর আগামী ২২ মার্চ ডেমোক্রেট দলের আরিজোনা প্রাইমারি, ইউটাহ ককাস ও আইডাহো ককাস। এছাড়া ২৬ মার্চ আলাস্কা, হাওয়াই ও ওয়াশিংটনে ডেমোক্রেট দলের ককাস। ১ এপ্রিল রিপাবলিকানদের নর্থ ডাকোটা প্রাইমারি। ৫ এপ্রিল উইসকিনসন প্রাইমারি, ৯ এপ্রিল ডেমোক্রেটদের উইয়োমিং ককাস। আর ১৯ এপ্রিল নিউইয়র্ক প্রাইমারি।

মোদি ও ট্রাম্পের মিল যেখানে

যুক্তরাষ্ট্রের  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন ধনকুবের ও টিভি ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের আগে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ছিল না। অপরদিকে কয়েক হাজার মাইল দূরের দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘ রাজনৈতিক অতীত তাঁর।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিন্ন দেশের ভিন্ন রকম দুই রাজনীতিবিদ হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বেশ মিল পাওয়া যায়।
উটকো চুলের ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজনৈতিক বক্তৃতায় চেঁচামেচি, অশ্রাব্য কথাবার্তা ও বিতর্ক ছড়ান। বিভিন্ন মন্তব্য করে বেশ আলোচিত ও সমালেচিত হয়েছেন তিনি। তবে এরই মধ্যে কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে রিপাবলিকান দলের অপর দুই মনোনয়ন প্রত্যাশী টেড ক্রুজ ও মার্কো রুবিওর চেয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। বিতর্ক সত্ত্বেও মার্কিন জনগোষ্ঠীর কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন ট্রাম্প। এর কারণ কী?
ট্রাম্প তাঁর বক্তৃতায় মেক্সিকানদের ধর্ষক দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরি করার কথা বলেন। তবে এর পরও নেভাদায় লাতিন আমেরিকানদের সমর্থন পেয়েছেন ট্রাম্প। একইভাবে নারীদের নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেও তিনি অনেক নারীর কাছে জনপ্রিয়। অপরদিকে নারী হওয়া সত্ত্বেও হিলারিকে ভিন্ন চোখে দেখেন অনেক মার্কিনী। তাঁদের মতে, হিলারি ক্ষমতা চায়। তবে ক্ষমতা পেয়ে সে কী করবে তা পরিষ্কার নয়। অপরদিকে ট্রাম্পকে প্রথাগত রাজনীতির পরিবর্তনের প্রতীক বলে মনে করেন অনেকে।
বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মানুষ দেখছে রাজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে। কোনো সমস্যার সমাধান চায় মানুষ, যা প্রথাগত রাজনৈতিবিদদের অনেকে দিতে অপরাগ। এ কারণেই রজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে ট্রাম্পকে পছন্দ অনেক মার্কিনির।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রেও প্রায় এমনটিই ঘটেছিল। ভারতে গত লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই ছিলেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয় ছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

অনেক ভারতীয় মোদিকে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে দেখেছেন। একই রকম ঘটনা ঘটেছে ভারতের দিল্লিতে। আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে রাজনীতির বাইরের মানুষ হিসেবে দেখেছে দিল্লির মানুষ। এ কারণেই দিল্লিবাসী ভোট দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে।

No comments:

Post a Comment