Thursday, March 10, 2016

৯০টি আসনে কংগ্রেসকে লড়াই করার জন্য ছাড়লো বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের ১৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিমানের! জোটের জটে আনকোরা অরাজনৈতিক মুখ!দলিত সাহিত্যিক কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর গাইঘাটায় বাম প্রত্যাশী,কিন্তু নিতীশ বিশ্বাস উপেক্ষিতই থেকে গেলেন! বামেদের প্রার্থী তালিকায় প্রায় ৬০ শতাংশ প্রার্থী নতুন। লক্ষণীয় ভাবে কম বয়েসের প্রার্থী সংখ্যা এই তালিকার অপর এক উল্লেখযোগ্য বিষয়। প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণায় ৬৮ টি নূতন মুখের কথা বলেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কমরেড বিমান বোস।৮৪ জনের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের, নতুন মুখ ৫২... পলাশ বিশ্বাস

৯০টি আসনে কংগ্রেসকে লড়াই করার জন্য ছাড়লো বামফ্রন্ট।

কংগ্রেসের ১৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিমানের!

জোটের জটে আনকোরা অরাজনৈতিক মুখ!দলিত সাহিত্যিক কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর গাইঘাটায় বাম প্রত্যাশী,কিন্তু নিতীশ বিশ্বাস উপেক্ষিতই থেকে গেলেন!

বামেদের প্রার্থী তালিকায় প্রায় ৬০ শতাংশ প্রার্থী নতুন। লক্ষণীয় ভাবে কম বয়েসের প্রার্থী সংখ্যা এই তালিকার অপর এক উল্লেখযোগ্য বিষয়। প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণায় ৬৮ টি নূতন মুখের কথা বলেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কমরেড বিমান বোস।৮৪ জনের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের, নতুন মুখ ৫২...

পলাশ বিশ্বাস


তৃণমূল হঠাও, রাজ্য বাঁচাও। একাজে ফের দলমতনির্বিশেষে সবাইকে জোট বাঁধার ডাক দেন সূর্যকান্ত মিশ্র। বামফ্রন্টের প্রথম দফার প্রার্থী ঘোষণায় ৬৮ টি নূতন মুখের কথা বলেছিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান কমরেড বিমান বোস।৮৪ জনের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের, নতুন মুখ ৫২...

জোটের জট পাকানোর মধ্যে দ্বিতীযদফার লিস্টে রাজনীতিতে আনকোরা মুখ একজন দলিত সাহিত্যিকের, তিনি হলেন কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর।


প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলো বামফ্রন্ট। প্রথম দফার ১১৬ জন প্রার্থীর পর দ্বিতীয় দফায় ৮৮ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তারা।


বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। দুই দফার প্রার্থী তালিকায় মোট ২০৪ জনের নাম ঘোষণা করলো বাম নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধান সভার ২৯৪টি আসনের মধ্যে  বাকি ৯০টি আসনে কংগ্রেসকে লড়াই করার জন্য ছাড়লো বামফ্রন্ট।

দ্বিতীয় দফায় মোট ৮৫টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদ এবং মালদহের একাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।

মুর্শিদাবাদের ১০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তার মধ্যে এমন ৬টি আসন রয়েছে, যেখানে ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রার্থী দেবে বলে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, বড়ঞা, নওদা— এই পাঁচটি আসনেই ২০১১-য় জিতেছিল কংগ্রেস।

এই সবক'টি আসনেই বৃহস্পতিবার প্রার্থী ঘোষণা  করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান।


এছাড়াও বীরভূম, পুরুলিয়া-সহ জেলার বেশ কিছু আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে বলে জানানো সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার এই আসনগুলির জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামফ্রন্ট।



এই দিনের প্রার্থী তালিকায় বেশ কিছু নতুন মুখের দেখা পাওয়া গেছে। বাম প্রার্থী তালিকায় সব থেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় এই নতুন প্রার্থীদের সংযুক্তি। বামেদের প্রার্থী তালিকায় প্রায় ৬০ শতাংশ প্রার্থী নতুন। লক্ষণীয় ভাবে কম বয়েসের প্রার্থী সংখ্যা এই তালিকার অপর এক উল্লেখযোগ্য বিষয়।


কংগ্রেস ইতিমধ্যেই ৭৫টি আসনের কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, বাকি আসনগুলো সম্পর্কে কংগ্রেস কি নীতি নেয়। মনে করা হচ্ছে বেশ কয়েকটি আসনে  বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হতে পারে।



বাংলা দলিত সাহিত্যের মুখ উজানতলীর লেখক এবং কবি কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরকে উত্তর চব্বিশ পরগণার গাইঘাটা মতুয়াবহুল নির্বাচনী এলাকায় সিপিআইয়ের টিকিটে আজ বামফ্রন্টের প্রত্যাশী ঘোষিত করা হল মন্ত্রী জ্যোতি প্রিযমল্লিকের বিরুদ্ধে।


ত্রিপুরায় প্রয়াত দলিত কবি অনিল সরকার বাম সরকারে আমৃত্যু মন্ত্রী ছিলেন।


প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের সঙ্গে অনিলবাবুর ঘনিষ্ঠতা আজীবন ছিল এবং আজ তিনি বেঁচে থাকলে বাম শুভবুদ্ধির এই লক্ষ্মণে খুশিই হতেন।


বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং দলিত ও বাম আন্দোলনে ছাত্র জীবন থেকে সক্রিয় নিতীশ বিশ্বাসকে চাইলে বামেরা প্রত্যাশী করতে পারত,তাহলে আমাদের মনে করার যথেস্ট কারণ থাকত যে বামেরা দলিত লেখক কর্মীদের যথেস্ট গুরুত্ব দিতে ইচ্ছুক।


অবশ্য কপিল বাবুকে প্রত্যাশী করেছে সিপিআই এবং নিতীশ বাবু সিপিএমএর সঙ্গে যুক্ত।


এমনিতে গাইঘাটায় লড়াই খূব কঠিন বললে কম হয়।সন্ধ্যা থেকে লাগাতার চেস্টা করার পর ফোনে কপিল বাবুকে ধরা গেলে তিনি ও স্বীকার করলেন স্থানীয জনসাধারনের সব শ্রেণীর মানুষের সমর্থন সত্বেও লড়াই কঠিন কিন্তু মানুষের আস্থা অর্জনের সব চেস্টাই তিনি করবেন।


কপিল বাবু নিখিল ভারত পত্রিকার সম্পাদক এবং এই পত্রিকা ভারতে বাঙালি উদ্বাস্তুদের জীবন জীবিকার মুখপত্র।তিনি রিজার্ভ ব্যান্কের কর্ম ীহিসাবে দীর্ঘকাল শ্রমিক আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত এবং মতুয়া বুদ্ধিজীবী হিসাবে পরিচিত।কিন্তু মতুয়া ভোট যে ঠাকুর বাড়ি থেকে বক্সে আসে যায়,সেই ঠাকুরবাড়ির কাছের লোক জ্যোতি প্রিয় মল্লিক।ঠাকুর বাড়ি মমতা বালা তৃণমুলের এমপি এবং সুব্রত ঠাকুর ও মন্জুল কৃষ্ণ ঠাকুরও বিজেপি ছেড়ে এখন তৃণমুলে।মতুয়া ভোট কতটা পাবেন,তার উপর নির্ভর করবে কপিল বাবুর সাফল্য।


অন্যদিকে আর এক বাম মতুয়া নেতা হরিপদ বিশ্বাসকে জগদ্দলে আবার দাঁড় করানো হয়েছে,যিনি দীর্ঘকাল ঔ এলাকায় এমএলএ ছিলেন।

মীডিয়া খবরে প্রকাশ,বামফ্রন্টের দ্বিতীয় দফার প্রার্থী ঘোষণার পর জোট নিয়ে জট আরও বাড়ল। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে বারোটি আসনে তাদের সঙ্গে কংগ্রেসের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে। জোটের বড় কারিগর খোদ অধীর চৌধুরীর জেলা মুর্শিদাবাদেই ছটি আসনে থাকছেন বাম ও কংগ্রেস প্রার্থীরা। মূলত আরএসপি আসন ছাড়তে রাজি না হওয়ায় মুর্শিদাবাদে সর্বাত্মক জোট হল না।

বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান মুখে যা বলছেন তাঁর ঘোষিত প্রার্থী তালিকা কিন্তু তা বলছে না। সুতি, জঙ্গিপুর, রঘুনাথগঞ্জ, সাগরদিঘি, বড়ঞাঁ, নওদায় কংগ্রেসের পাশাপাশি প্রার্থী দিচ্ছে বামেরাও।

গত বিধানসভা ভোটে সুতিতে আরএসপি-কে সতেরো হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর চেয়ে দেড় হাজার ভোটে এগিয়েছিল তারা।

গত বিধানসভা ভোটে জঙ্গিপুরে সিপিএম-কে ছ-হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। তবে, লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থীর চেয়ে আট হাজার ভোটে এগিয়েছিল সিপিএম।

গত বিধানসভা ভোটে রঘুনাথগঞ্জে আরএসপি-কে পনেরো হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর চেয়ে তেরোশো ভোটে এগিয়েছিল তারা।

গত বিধানসভা ভোটে সাগরদিঘিতে সিপিএম-কে সাড়ে চার হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় তৃণমূল। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর চেয়ে তেরোশো ভোটে এগিয়েছিল তারা।

গত বিধানসভা ভোটে বড়ঞাঁয় আরএসপি-কে ছশো ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে আরএসপি প্রার্থীর চেয়ে একতিরিশ হাজার ভোটে এগিয়েছিল তারা।

গত বিধানসভা ভোটে নওদায় আরএসপি-কে চোদ্দো হাজার ভোটে হারিয়ে দেয় কংগ্রেস। লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে আরএসপি-র চেয়ে চল্লিশ হাজার ভোটে এগিয়েছিল তারা।

বাম-কংগ্রেসের জোটে ছোট শরিকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আপত্তি রয়েছে আরএসপি-র। পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে তাদের বাধাতেই অধীরের গড়ে সর্বাত্মক জোট হল না। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে এতদিন লড়াই করে আসা জেলা সিপিএম নেতারাও জঙ্গিপুর-সাগরদিঘির দখল ছাড়তে চাইলেন না। বামেদের দ্বিতীয় প্রার্থী তালিকা দেখে ঘনিষ্ঠমহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অধীর চৌধুরী। যে যে আসনে রফা হবে না সেখানে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই ছাড়া উপায় নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। বাম-কংগ্রেস দু-পক্ষই প্রার্থী দেওয়ায়,  

বীরভূমের হাসন, সাঁইথিয়া, রামপুরহাট, পুরুলিয়ার জয়পুর, উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর ও কলকাতার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রেও বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হচ্ছে। ইসলামপুর ও জোড়াসাঁকোয় জেডিইউ এবং আরজেডি প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন বিমান বসু। মুর্শিদাবাদের ডোমকল এবং হরিহরপাড়াতেও বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।



--
Pl see my blogs;


Feel free -- and I request you -- to forward this newsletter to your lists and friends!

No comments:

Post a Comment