Sunday, October 5, 2014

অনুপ্রবেশকারি কারা বলো তো ভায়া? কেডা হেই অনুপ্রবেশকারি, যাদের খেদাতে সীমান্ত ডিঙিয়ে সঙঘ জামাত জোট,সেকি শুধু ভোট না শুধু খেল ক্ষমতাদখল? জাতের নামে বজ্জাতি চরমে, চরমে ধর্মোন্মাদি মেরুকরণ! সত্যিকারের যারা অনুপ্রবেশকারি,তাঁদের কেশাগ্র স্পর্শ করার স্পর্ধা নেই কারো,এপার বাংলায় এবং ওপার বাংলাতেও তাঁরাই ক্ষমতা দখলের অস্ত্র। পলাশ বিশ্বাস

অনুপ্রবেশকারি কারা বলো তো ভায়া?

কেডা হেই অনুপ্রবেশকারি, যাদের খেদাতে সীমান্ত ডিঙিয়ে সঙঘ জামাত জোট,সেকি শুধু ভোট না শুধু খেল ক্ষমতাদখল?

জাতের নামে বজ্জাতি চরমে, চরমে ধর্মোন্মাদি মেরুকরণ!

সত্যিকারের যারা অনুপ্রবেশকারি,তাঁদের কেশাগ্র স্পর্শ করার স্পর্ধা নেই কারো,এপার বাংলায় এবং ওপার বাংলাতেও তাঁরাই ক্ষমতা দখলের অস্ত্র।

পলাশ বিশ্বাস

জাতের নামে বজ্জাতি সব


জাতের নামে বজ্জাতি সব জাত-জালিয়াৎ খেলছ জুয়া!

ছুঁলেই তোর জাত যাবে? জাত ছেলের হাতের নয়তো মোয়া।।

হুঁকোর জল আর ভাতের হাঁড়ি – ভাব্‌লি এতেই জাতির জান,

তাইত বেকুব, করলি তোরা এক জাতিকে একশ'-খান।

এখন দেখিস ভারত জোড়া পঁচে আছিস বাসি মড়া,

মানুষ নাই আজ, আছে শুধু জাত-শেয়ালের হুক্কাহুয়া।।

জানিস নাকি ধর্ম সে যে বর্ম সম সহন-শীল,

তাকে কি ভাই ভাঙ্‌তে পারে ছোঁয়া ছুঁয়ির ছোট্ট ঢিল!

যে জাত-ধর্ম ঠুন্‌কো এত, আজ নয় কা'ল ভাঙবে সে ত,

যাক্‌ না সে জাত জাহান্নামে, রইবে মানুষ, নাই পরোয়া।।

বলতে পারিস, বিশ্ব-পিতা ভগবানের কোন সে জাত?

কোন্‌ ছেলের তার লাগলে ছোঁয়া অশুচি হন জগন্নাথ?

ভগবানের জাত যদি নাই তোদের কেন জাতের বালাই?

ছেলের মুখে থুথু দিয়ে মার মুখে দিস ধূপের ধোঁয়া।।

কাজী নজরুল ইসলাম


প্রগতিশীল,বাম,উদার সকল দেশের সেরা সে যে বৌদ্ধময় এই গোটা বাঙালি ভূগোল,ইতিহাস ওলট পালট করে শযতানির নারকীয় উত্তেজনা,সন্ত্রাসি জেহাদ,রক্তপাতের ধারাবাহিকতা,বহুল সংস্কৃতির মিলনতীর্থে ভারত সাগরে আজিকে পদ্ম প্রলয়,একদিকে শাহবাগ ও যাদবপুর একজোট ত অন্যদিকে সঙ্ঘ পরিবার এবং জামাত জোট!


পুজোর আনন্দে চারদিক এখন ঝলমলে। উত্‍সব মুখরিত গোটা রাজ্য। কিন্তু অন্ধকারে আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবরি গ্রাম। পুজোর আনন্দের শরিক নন গ্রামের বাসিন্দারা। বরং এই চারদিন তাঁদের কাছে দুঃখ-বিষাদময়। কারণ একটাই। তাঁরা প্রত্যেকেই অসুরের বংশধর। তাই মা দুর্গার মুখ দেখাও বারণ।   কলকাতা হোক বা জেলা, সর্বত্রই জনজোয়ার। বাড়িতে থাকতে নারাজ কেউ।

এবিপি আনন্দের খবরঃপশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপির পাশে দাঁড়াল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)। শুক্রবার আরএসএসের বার্ষিক অনুষ্ঠানে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরাসরি তৃণমূল সরকারের দিকে আক্রমণ শানালেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। তাঁর অভিযোগ, কেবল রাজনৈতিক স্বার্থে চোখ বন্ধ করে রয়েছে রাজ্য সরকার।

লোকসভা ভোটের আগে ঠিক এই একই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিল বিজেপি। ভোট প্রচারে রাজ্যে এসে, তখন একের পর এক সভা থেকে অনুপ্রবেশ ইস্যু তুলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। তিনি অভিযোগ করেন, দেশের নাগরিকদের থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে বেশি চিন্তিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, এরাজ্যে গত কয়েকটি ভোটের ফলে বিজেপি ক্রমশ প্রধান বিরোধী হিসেবে উঠে আসছে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে বিজেপির ভোট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ শতাংশ। সম্প্রতি দু'টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনেও একটি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। এখন তাদের পাখির চোখ ২০১৬-র বিধানসভা ভোট। তার আগে এবার বিজেপি হাতিয়ার করতে চাইছে অনুপ্রবেশ ইস্যুকে। সেই ইস্যুতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘও যেভাবে বিজেপির পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল, সেটা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

http://abpananda.abplive.in/state/2014/10/03/article413028.ece/RSS-attacks-TMC-Government-over-infiltration-issue#.VDHBmGeSxJk



অনুপ্রবেশকারি কারা?

কেডা হেই অনুপ্রবেশকারি,যাদের খেদাতে সীমান্ত ডিঙিয়ে সঙঘ জামাত জোট,সেকি শুধু ভোট না শুধু খেল ক্ষমতাদখল?

জাতের নামে বজ্জাতি চরমে,চরমে ধর্মোন্মাদি মেরুকরণ!

ধর্মোন্মাদি মরেরুকরণের ফলে এই সংবাদে এখন মমতা রাজত্বে বাংলাকে জেহাদিদের মুক্তান্চল বলে অভিযোগ করছে সঙ্ঘ পরিবার যে র্ধমানের খাগড়াগড়কাণ্ডের সঙ্গে বাংলাদেশ যোগের ইঙ্গিত পেলেন গোয়েন্দারা। খাগড়াগড় বিস্ফোরণে মৃত শাকিল গাজির স্ত্রী রাজেরা বিবিকে জেরার সুবাদেই এই সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে, শাকিল গত সাতবছর ধরে নদিয়ার করিমপুরে শ্বশুরবাড়িতে থাকত। কিন্তু সে আসলে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বিস্ফোরণকাণ্ডে সিমি-র যোগাযোগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা। এই সূত্রে উঠে আসছে সিমি নেতা সাফদার নাগোরির নাম।প্রমাণ কিন্তু এখনো কিছু তেমন মেলে নি!

বাংলায় ক্ষমতাদখলের রাজনীতিতে বোমা বিস্ফোরণ রোজকারই জীবন কিন্তু অভিযুক্তেরা মুসলমান তাই সহজেই বলা হচ্ছে স্কুল জীবন থেকেই বোমা তৈরিতে হাতেখড়ি। তদন্তকারীদের জেরায় স্বীকার করলেন বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই মহিলা। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজেরা বিবি ওরফে রুমি এবং তাঁর স্বামী শাকিল গাজির বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাগপুরে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজির। আমিনা বিবির বাড়ি মুর্শিদাবাদের উকুডিহা গ্রামে। তাঁর স্বামী আবুল হাকিম বীরভূমের দেউচার বাসিন্দা। বিস্ফোরণে জখম আবুল এখন হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। বিস্ফোরণের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই ভাড়া বাড়ির পঞ্চম সদস্য সুভান মণ্ডল ওরফে স্বপন। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তরপাড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর বিস্ফোরণে জখম হওয়ার পর চিকিত্‍সা নিতে অস্বীকার করেছিলেন সুভান।

বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে গুরুতর জখম আবুল হাকিম। বছর খানেক আগে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন তিনি। তারপর একবার ঘরে ফেরানো হলেও, আর বাড়িতে থাকেননি হাকিম। বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাঁর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় অবাক হাকিমের বীরভূমের দেউচার বাড়ির আত্মীয়রা।


খাগড়াগড় বিস্ফোরণকাণ্ডে এবার সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি।  পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থ নাথ সিংয়ের অভিযোগ, খাগড়াগড়ে যে বাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি এক স্থানীয় তৃণমূল নেতার। ওই বাড়িতে জেহাদি এবং বাংলাদেশি জঙ্গিদের নিয়মিত আনাগোনা ছিল বলে অভিযোগ তাঁর। সরকারের নির্দেশে বর্ধমানের পুলিস সুপার তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন সিদ্ধার্থনাথ সিং।

বিজেপির এই বক্তব্যকে ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি ,আজ সকাল পাঁচটা  থেকে এই অপপ্রচার শুরু করেছে বিজেপি।

সরকারকে হেয় করার জন্য দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করছে সিপিআইএম ও বিজেপি। রাজ্যে অশান্তি  ছড়ানোর  চক্রান্ত চলছে। বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে পাল্টা তোপ তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের।

এদিকে, স্কুল জীবন থেকেই বোমা তৈরিতে হাতেখড়ি। তদন্তকারীদের জেরায় স্বীকার করলেন বর্ধমান বিস্ফোরণ কাণ্ডে ধৃত দুই মহিলা। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, রাজেরা বিবি ওরফে রুমি এবং তাঁর স্বামী শাকিল গাজির বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের বারবাগপুরে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শাকিল গাজির। আমিনা বিবির বাড়ি মুর্শিদাবাদের উকুডিহা গ্রামে। তাঁর স্বামী আবুল হাকিম বীরভূমের দেউচার বাসিন্দা। বিস্ফোরণে জখম আবুল এখন হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন। বিস্ফোরণের পর হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল ওই ভাড়া বাড়ির পঞ্চম সদস্য সুভান মণ্ডল ওরফে স্বপন। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের উত্তরপাড়ায়। হাসপাতাল সূত্রে খবর বিস্ফোরণে জখম হওয়ার পর চিকিত্‍সা নিতে অস্বীকার করেছিলেন সুভান।

বিসর্জন ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বসিরহাটে। প্রশাসনের তরফে দ্রুত বিসর্জনের নির্দেশের প্রতিবাদে পথ অবরোধে নামল বসিরহাটের বিভিন্ন ক্লাব। অবরোধ করা হয় রেলও। অবরোধ তুলতে গেলে র‍্যাফ ও পুলিসের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাসিন্দারা।



লোকসভা নির্বাচনের আগেই বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং সেই সময়ের বিজেপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদি শ্রীরামপুরের প্রচারসভায় এসে প্রায় একই রকমভাবে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারিদের বিরুদ্ধে হুঙ্কার তুলেছিলেন। ওই সময় মোদি ঠিক পরিস্কার করেননি অনুপ্রবেশকারি বলতে  বিজেপি রাজনৈতিক স্যান্ড কি। এর এক সপ্তাহ পর কৃষ্ঞনগরে এসে মোদি অনুপ্রবেশকারি বলতে শুধুমাত্র মুসলিমদের বুঝিয়েছেন। মোদি বলেছিলেন, যারা হিন্দু আছেন তারা ভারত মায়ের সন্তান। তাদের দেখভাল করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কিন্তু মুসলিমদের কোনভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না।


তখন লিখেছিলাম,উদ্বাস্তু ও অনুপ্রবেশকারি,হিন্দু ও মুসলিম বিভাজনসত্বেও মোদীকে ধন্যবাদ যে তিনি বাংলার নেতা মনেতৃদের মুখোশ খুলে দিতে পারছেন। নাগরিকত্ব সংশোধণী আইন পাশে যাদের সবারই সমান ভূমিকা। সেই আইন অনুযায়ীই মোদী 1947 সালের পর সব্বাইকে তল্পি তল্পা গুছিয়ে নিতে বলেছেন এবং সে আইন মোদীকে ঠেকাতে পারলেও বলবত থাকছে।


বাংলাদেশ থেকে অমুসলিম যে কোনও মানুষ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে ভারতে এলে তাকে শরনার্থী হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার কথা বলছেন সঙ্ঘ নেতা নেত্রীরা।তাহাদের সুরে সুর মিলাইয়া উদ্বাস্তু সংগঠন গুলিও ভারত ভাগের দায় সঙ্ঘ পরিবারের ইতিহাস অনুযায়ী মুসলিমদের পর চাপিয়ে একই ভাষায দাবি করছেন অমুসলিমরা ভারতের নাগরিক।


ঘটনা হল নাগরিকত্ব সংশোধন আইন অনুযাযী উডীষ্যা থেকে উত্তরাখন্ড পর্যন্ত সেই 2005 সাল থেকে আজ অবধি ভারত ভাগের বলি,এমনকি নোয়াখালি দাঙার শিকার বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুদেরই বিতাড়ন করা হয়েছে।


ঘটনা হল পশ্চিম বাংলার জেলায় জেলায় হাজারো হাজার অমুসলিম উদ্বাস্তুরা পচে গলে যাচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ হিন্দু শরণার্থীদের ভোটের আত্মঘাতী রাজনীতিতে ভোটার লিস্ট ও রেশন কার্ড থেকে বাতিল হয়ে বেনাগরিক জীবন যাপন করছেন।


ঘটনা হল,ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত দিনহাটার কাছে মশালডাঙ্গা ছিটমহলে বাড়ি আব্দুল রুহুল আমিন শেখের। কিন্তু বিএসএফ তাকে ঠেলে পাঠিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশে। সেখানে গিয়ে সে পড়েছে অথৈ জলে। বাংলাদেশে যে তার কোনও থাকার জায়গাই নেই। মশালডাঙ্গায় বসে রুহুলের পিতা তোজাম্মেল শেখ ছেলেকে কিভাবে ফেরত পাবেন সেই আশঙ্কাতেই দিন কাটাচ্ছেন। অবশ্য যুবক রুহুলকে ফেরানোর দাবি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে হল ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটিকে। এ ব্যাপারে কমিটির পক্ষ থেকে কোচবিহারের জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসক মোহন গান্ধী বিষয়টি উচ্চপর্যায়ে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন।


কেন রুহুলকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হলো? কমিটির সহসম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, বৈধ নাগরিকত্ব না থাকায় প্রতি বছর ছিটমহলের অনেককেই  এই ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ছিটমহলে কর্মসংস্থানের কোন সুযোগ না থাকায় রুটিরুজির টানে শ্রমিকের কাজ করতে রুহুল দিল্লি গিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের ২৯ জুলাই তাকে গুরগাঁও পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশকারি হিসেবে গ্রেপ্তার করে। বছর খানের জেল খাটার পর গত ৪ আগস্ট তাকে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ পুশ ব্যাক করে। কিন্তু সেই থেকে রুহুল আমিন সঙ্কটে পড়েছেন থাকা খাওয়া নিয়ে। বাংলাদেশের ছিঠমহলের বান্দিা হলেও তার কাছে বাংলাদেশ বিদেশের সমান। এখন তিনি কিভাবে ছিটমহলে ফেরত আসবেন তা নিয়েও সমস্যায় পড়েছেন।


এমন তো হামেশাই হচ্ছে।

আবার বাংলাদেশের অভিযোগ,মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। খুচরা বাজারে কমতে শুরু করেছে ইলিশের দাম। তবে সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়লেও বাংলাদেশী জেলেদের তুলনায় এর বেশিরভাগই শিকার করছে অনুপ্রবেশকারিভারতীয় জেলেরা।


বাংলাদেশের সমস্যা হল,বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ সমস্যাবহুল দেশে ১০ লাখ অবৈধ রোহিঙ্গা বসবাস করছে সাড়ে তিন দশকের বেশি সময় ধরে। এরা মায়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে এসেছে। বাংলাদেশের জন্য অবৈধ রোহিঙ্গারা বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়া হয়েছিলো, তারপর রোহিঙ্গারা অভিবাসীর সীমা অতিক্রম করে এদেশে স্থায়ী বসবাসের পরিকল্পনা করে নানাবিধ জটিল সমস্যা সৃষ্টি করে যাচ্ছে। এক গাছের বাকল যেমন অন্য গাছে লাগে না, তদ্রুপ মায়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে এসে অস্বস্তির, অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। 'রোহিঙ্গা' শব্দটিই এদেশের মানুষ নৈতিবাচক অর্থে গ্রহণ করে থাকে।

ভারতে যেমন অমুসলিমরা শরণার্থী তেমনি বাংলাদেশের একাংশের যুক্তিও তাই।তাঁদের মতে


কয়রা (খুলনা): পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা ও সাতক্ষিরা রেঞ্জের কাশিয়াবাদ, কোবাদক ও বুড়িগোয়ালিনি ফরেস্ট ষ্টেশনের আওতাধীন অভয়ারণ্য এলাকার বিভিন্ন খাল চুক্তি ভিত্তিক আর্থিক সুবিধা আদায়ের মাধ্যমে জেলেদের কাছে অলিখিত ইজারা দিয়েছে বনবিভাগের স্থানীয় কিছু অসাধু কর্মকর্তারা। এ সুযোগে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনুপ্রবেশকারি জেলেরা ইচ্ছামত ধ্বংস যজ্ঞ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে বনবিভাগ এর সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।


সূত্র অনুযায়ি, কয়রা উপজেলার ১২ জন জেলে নামধারি মৎস্য ব্যবসায়ি বনবিভাগের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে মৌসুমভিত্তিক সংরক্ষিত এলাকার খাল ইজারা নিয়ে থাকেন। তারা হলেন, আ; হালিম, মইদুল, আবু মুসা, ইছাহাক আলী, আঃ মাজেদ, আঃ বারিক, কারিম, কামরুল, মতি সরদার, আনারুল, সাহেব আলী ও হাবিুল্যাহ। বর্তমানে এসব মাছ ব্যবসায়িদের মাধ্যমে ৩৮০ খানা নৌকা ও মাছ পরিবহনের জন্য বেশ কয়েকটি দ্রুতগামী ট্রলার সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে। এ জন্য সংরক্ষিত এলাকার খালে প্রতিটি ঘাট ইজারা পেতে বনবিভাগকে দিতে হয়েছে দশ হাজার টাকা। আবার প্রতি আমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারের সময় নৌকা প্রতি আলাদা ৫শ' টাকা দিতে হবে বলে সুত্র নিশ্চিত করেছেন।


বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক পশ্চিম সুন্দরবনের নীলকমল, নোটাবেকি, ভ্রমরখালি, পুষ্পকাটি, হলদেবুনিয়া ও কুকুমারি খাল অভয়ারণ্য এলাকা ঘোষনা করা হয়। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র সংরক্ষন ও মাছ প্রজননের জন্য এসব খাল ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাছ ধরা ও বনজদ্রব্য আহরণ নিষিদ্ধ করে। বঙ্গোপসাগর থেকে বয়ে আসা এসব খাল ও নদ নদীতে বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ এসে ডিম ছাড়ে।


সুন্দরবনের মাছ ব্যবসায়ি আঃ কারিম জানান, অভয়ারন্য এলাকার এসব খালে বেশি মাছ পাওয়া যায়। এ জন্য খাল দখল নিতে আগে থেকেই বনবিভাগ, বনদস্যু সহ অন্যন্যদের সঙ্গে দেন দরবার সারতে হয়। প্রতিবছর এসব কাজে মধ্যস্থতার জন্য ব্যবসায়িদের আলাদা লোক রয়েছে। তারা বনবিভাগ থেকে সাদা মাছ ধরা ও পরিবহনের অনুমতি সহ সকল কাজ সম্পন্ন করে থাকেন। সব প্রস্তুতি সম্পন্নের পর জাল, নৌকা ও অন্যন্য সরঞ্জাম সহ প্রতিটি নৌকায় ৩/৪ জন করে শ্রমিক (প্রকৃত জেলে) ওই সব খালে পাঠানো হয়। তারা মৌসুম জুড়ে সেখানে মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত থাকে।


সুত্রে জানা যায়, অভয়ারন্য এলাকার ছয়টি খালে মৌসুম জুড়ে সহস্রাধিক জেলে অবস্থান কালে তাদের রান্নার কাজে সুন্দরবনের কাঠ ব্যবহার করেন। অভিযোগ রয়েছে মাছ ব্যবসার আড়ালে ট্রলারে করে সুন্দরবন থেকে হরিণের মাংস, বাঘের চামড়া সহ বনজ সম্পদ নিয়মিত পাচার হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও মাছ পরিবহনের ট্রলারে করে বনদস্যুদের অস্ত্র ও গুলি সরবরাহ হয়ে থাকে বলে অভিযোগ আছে। সুন্দরবনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ধরা পড়ে জেলও খেটেছেন এসব ব্যবসায়িদের অনেকেই।


এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) জহির উদ্দীন আহমেদ বলেন, অভয়ারণ্য এলাকার কোন খালে জেলেদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এসব নিষিদ্ধ এলাকায় কেউ প্রবেশ করলে কিংবা বনবিভাগের এর সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।



সত্যিকারের যারা অনুপ্রবেশকারি,তাঁদের কেশাগ্র স্পর্শ করার স্পর্ধা নেই কারো,এপার বাংলায় এবং ওপার বাংলাতেও তাঁরাই ক্ষমতা দখলের অস্ত্র।


শেষপর্যন্ত মোদীকে ঠেকানো যায়নি।৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করা বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি।অনুপ্রবেশকারি তকমা দিয়ে ভিন রাজ্যের বাঙালিদের এবং বাংলাতেও উদ্বাস্তুদের তল্পতল্পা সহ তাড়ানো বাংলার পদ্মপ্রলয়ের প্রথম প্রতিশ্রুতি। এই ভারতবর্ষে বাংলায় কথা বলা রীতিমত বিপজ্জনক। কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে, আসামসহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে শুরু হবে এ অনুপ্রবেশকারি শনাক্তকরণের কাজ।


ঘটনা হল,ভারতের হবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শপথ নেয়ার আগেই নয়া দিল্লিতে নির্দেশ দিয়ে দিলেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারিদের ঠেকাতে পৃথক দফতর খোলার। কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক বর্তমান এ খবর দিয়েছে। পত্রিকাটির প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানিদের নিয়ে মোদির কড়া অবস্থান যে নিছক নির্বাচনী প্রতিশ্র"তি নয়, তা বোঝাতে মোদি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে ডেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছেন। মোদি এ সময় স্বরাষ্ট্র সচিবকে 'বাংলাদেশি' অনুপ্রবেশ নিয়ে একটি ব্লু প্রিন্ট তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন। বিজেপির বরাত দিয়ে পত্রিকাটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে একটি পৃথক বিভাগ ও দফতর খোলা হবে। ওই দফতরের প্রধান দায়িত্ব হবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা মতো রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর রূপরেখা ও অনুপ্রবেশকারি চিহ্নিত করা। একইভাবে পাঞ্জাব, রাজস্থান ও কাশ্মিরে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ রোধ করা এই দফতর খোলার উদ্দেশ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী দিনে অনুপ্রবেশ নিয়ে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে মোদি সরকারের যে প্রবল বিরোধ সৃষ্টি হতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। যদিও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া কেন্দ্র একা অনুপ্রবেশ-বিরোধী অভিযান করতেই পারবে না। সুতরাং ভোটের আগে মমতা যা বলেছেন, তা সম্পূর্ণ সত্যি। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে মোদি সরকার অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরাট কোনো সক্রিয়তা দেখাতে পারবে না।


ইতিহাস গড়লেন নরেন্দ্র মোদি

মোদি ঝড়ে উড়ে গেল কংগ্রেস। টানা দশ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার ইতিহাস লিখল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। ত্রিশ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভারত শাসনের ভার নিতে যাচ্ছে কোনো জোট। ভারতের মানুষ যে পরিবর্তন চেয়েছে, বর্তমান ফলাফল তারই স্বাক্ষর বহন করে। নরেন্দ্র মোদি গুজরাট দাঙ্গার কলংক সত্ত্বেও নির্বাচনী প্রচারণায় ঝড় তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। এটাকেই অনেকে 'মোদি ঝড়' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বাংলাদেশি দৈনিক করতোয়ার মন্তব্যটি পড়ার মতঃবিজেপি হিন্দুত্ববাদী দর্শনকে নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রামকার্ড হিসেবে ব্যবহার করলেও তাদের আসল গুরুত্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে লিবারেল পুঁজিবাদি ধারা জোরদার করা। এর ফলে ভারতের কর্পোরেট সেক্টর মোদির পেছনে একাট্টা হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, মোদির পক্ষেই সম্ভব ভারতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি ঘটানো। অনেকে তার গুজরাট মডেলের কথাও বলেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম ভারতের একাধিক সমস্যা বিশেষ করে তিস্তাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীর পানি সমস্যা, ছিটমহল চুক্তি, বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি, মাদক চোরাচালান, সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে যত দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ নেবেন, ততই তিনি ভাল করবেন অর্থাৎ ভারতের উন্নয়নের স্বার্থে বাংলাদেশের মানুষের সমর্থন তার দরকার। তথাকথিত অনুপ্রবেশকারি বলে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো হলে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং মানুষের ক্ষোভ বাড়বে। বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, স্বাধীন-সার্বভৌম দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা থাকলে এ দুটি দেশেরই সম্পর্কই শুধু উন্নত হবে না, বরং দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে তা এক বড় ধরনের অবদান রাখতে পারে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নতুন নেতা নরেন্দ্র মোদিকে আমাদের অভিনন্দন।



এপার বাংলায,এবং ওপার বাংলায় সীমান্ত পেরিয়ে পদ্মপ্রলয়

হিন্দুত্ববাদিদের তসলিমাকে জুতাপেটার মিথ্যা ভিডিওতে ওপার বাংলার জমামাত হেফাজত হিন্দত্ববাদিদের চেয়ে বেশি উল্লসিত


এদিকে বিজেপি রাজনৈতিক স্ট্যান্ড ক্রমেই আরো জোড়ালো করা হচ্ছে বলেও আভাস দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা রাহুল সিনহা। তিনি বলেন, প্রয়োজনে রাজ্যসরকারকে এই অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর জন্য রাজনৈতিকভাবেই চাপ প্রয়োগ করা হবে।


অন্যদিকে বাংলাদেশে,কক্সবাজারে ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন কক্সবাজার'র বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তুমব্রু ও ঘুনধুম সীমান্ত এলাকা থেকে ১১ জন অবৈধ অনুপ্রবেশকারি রোহিঙ্গা ২ অক্টোবর আটক করেছে। সুত্র জানিয়েছে, ১৭ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ খালিদ হাসান'র দিক নির্দেশনায় তাদের আটক করা হয়।


মানে হল অমুসলিমরা ভারতে অনুপ্রবেশকারি তো বাংলাদেশে রোহিঙ্গা মোছলমান।


অন্যদিকে, মুম্বইতে থাকার এবং চাকরি করার জন্য বিহারিদের বিশেষ অনুমতি পত্র থাকা উচিত। রাজ ঠাকরে মুম্বইতে কর্মরত বিহারিদের `অনুপ্রবেশকারি` বলার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তারই ভাই এবং শিবসেনার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট উদ্ধব ঠাকরে।


বাংলাদেশ থেকে অমুসলিম যে কোনও মানুষ ও সম্ভ্রম বাঁচাতে ভারতে এলে তাকে শরনার্থী হিসেবে মর্যাদা দেওয়ার কথা বললেন ভারতের প্রভাবশালী বিজেপি নেতা এবং পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি রাহুল সিনহা। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় বিজেপি ভবনে বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি।


বিজেপি নেতা রাহুর সিনহা আরো বলেন, বাংলাদেশের কোন মুসলিম কেন ভারতে আসবেন। প্রতিবেশী দেশে তাদের জীবন বিপন্ন নয়।


এক্ষেত্রে তিনি সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল নেতাদের একই অভিযোগে অভিযুক্ত করেন। বিজেপি নেতার ভাষায়, এই দলগুলো বলে বাংলাদেশে খেতে পায় না দেখেই এখানে এসে কাজ করেন মুসলিমরা। বিজেপি মনে করে যদি বাংলাদেশি মুসলিমদের খাওয়া নিয়ে তাদের এতো চিন্তা, তবে ভারতে মুসলিম যারা খেতে পান না তারা যেন এইসব নেতাদের বাড়িতে ঢুকে পড়েন এবং খাওয়া-পড়া চান।


Secretary's Message

বারাসাত প্রেস ক্লাব, পশ্চিম বঙ্গ

4th August, 2013

প্রিয় সংগ্রামী সাথী,

আমরা অখন্ড ভারতের ভূমিপুত্র। ভারতের জল, বায়ু ও মাটির সঙ্গে আমাদের নাড়ীর সম্পর্ক। এ ভূমিকে উর্বর ও স্বাধীন করতে আমার পূর্বপুরুষরা শ্রম ও বলিদান দিয়েছেন। তাঁদের উত্তরশুরিদের স্বাধীন ভারতে ভাষা ও সংস্কৃতিহীন, ঠিকানা ও  আত্মপরিচয়হীন অনুপ্রবেশকারি হয়ে জীবনযাপনের তো কথা নয়!

আমরা দেশভাগের বলি পূর্ববাংলার সংখ্যালঘু মানুষ বহু উপেক্ষা, উপহাস ও বঞ্চনা মুখ বুজে এতদিন সহ্য করেছি। অনেক হয়েছে, আর নয়! আমরা ফিরে দাঁড়াতে শিখেছি। গর্বের বিষয়, স্বাধীনতার ৬০ বছর পরে হলেও, সব বাঁধা-দ্বন্দের বেড়াজাল ভেঙ্গে সারাদেশের ছিন্নমূল বাঙালী আমরা "নিখিল ভারত বাঙালী উদ্বাস্তু সমন্বয় সমিতি"র পতাকাতলে সঙ্ঘবদ্ধ হতে পেরেছি।

প্রদেশে প্রদেশে গ্রামে-গঞ্জে নিখিল ভারতের বিপ্লবি সৈনিকেরা দিবারাত্র অধিকারের দাবীতে জনজাগরনের মাধ্যমে সংঘটনকে শক্তিশালিরুপে গড়ে তুলছে। আমরা আজ আর কেউ অসুরক্ষিত নই। ছিন্নমূলদের বিপদে-আপদে সাড়ে তিন কোটি মানুষের এই রাষ্ট্রীয় সংগঠন আপনার পাশে আছে ও থাকবে।

আত্মশুরক্ষা, আত্মমর্যাদা ও সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘমেয়াদী আপোষহীন আন্দোলন করে চলেছি। আসুন, ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে হাতে হাত ধরে বিজয়ের পথে এগিয়ে চলি। বিজয় আমাদের হবেই।

জয় নিখিল ভারত!

জয় বাঙালী!

জয় ভারত!

                                                                           ইতি

                                                                          ডাঃ সুবোধ বিশ্বাস

                                                                            সর্ব ভারতীয় সভাপতি       





No comments:

Post a Comment