বাবরি লইয়া প্রতিবাদ দিবসের দিনই বাবসাহেবের সহিত দর্শনধারি কল্কি মহারাজ।
বহুজন ক্যপচার।
বাবাসাহেবও ক্যাপচার।
বাংলায় বাম দাঁড়াবে কি দাঁড়াবে না?
To be or not to be?
বিপর্যয় এখনো কাটেনি।অশনি সংকেত।দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্প।বাংলা কি বাঁচিবে কি বাঁচিবে না?
পলাশ বিশ্বাস
পয়ত্রিশ বছরের রাজধর্মে সংরক্ষণ বলিলেই,আম্বেডকর বলিলেই এই মাথা কাটে কাটে ত সেই মাথা কাটে,বহুজন সমাজের জন্য তাহাদের বিবেক জাগিয়াছে।
আরেকটি ঐতিহাসিক ভূল সংশোধনের জন্য উঠিয়া পড়িযা লাগিয়াছেন।অজুহাত সংরক্ষণ পালন হয় নাই,তা-লে এতকাল খামোশ বুড়বক হইয়া বাঙালি সিপিএমে রাজিনীতিতে আপ্লুত ভারতে কম্যুনিস্ট আন্দোলনের দফা রফা করিয়া শেষ পর্যন্তু হুঁশ ফিরিল।
শেক্সপীয়ার মহাশয়ের রচনায় হ্যামলেটে যেমন class consciosness রহিয়াছে, টেম্পেস্টে যেমন যুতসই ক্যালিবান আছেন বহাল তবিয়তে,মার্কস লেনিন স্টালিন ছাড়ুন সেই প্রাগঐতিহাসিক শেক্সপীয়ার ঘরানার চেতনার উন্মেষ বাংলার কমরেডদের কোনো কালে ঘটিল না।
যে ব্যাটা মহার জাতির অছুত আম্বেডকর বলিলেন,জাতি ধ্বংস ব্যাতিরেক ভারতবর্ষে সমতা ও ন্যায়ের লক্ষ্য দিবাস্বপ্ন,তাঁহাকে,তাঁহার ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলন,শ্রমিক ও মহিলাদের অধিকারের লড়াইকে আজও মান্যতা দিতে নারাজ কমরেড কূল।
অথচ বাবাসাহেবকে লঙ্ঘিয়া গিরি কন্দর দখল করার অবিচল লক্ষ্যে এক্কেবারে কাঁশিরাম ঘরানান নঊ গতর হইল বৃধ্যস্য তরুনী ভার্যা বামমোরচার।
বিহারিদের আমরা চিরকালই বুড়বক ভাবিয়া রাখিয়াছি,তাহারা হিন্দুত্বের বিজয় রথ রুখিয়াছে।
বাম মোরচা সেখানেও ছিল কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে নীতীশ লালুর বিরুদ্ধে অসলী বিকল্প।ফলাফলে মালের কপালে তিন তিনটি আসন জুটিলেও সিপিএম সিপিআই ভাঁড়ারে মা ভবানী।
একন সেই বিহার দাওয়াই দমদম দাওয়াইয়ের পরবর্তী সংস্করণ।বঙ্গের সেয়ানা পাবলিক বটতলা এই সাহিত্য কিনিবেন কিনা,সেই অনিবার্য প্রশ্ন বাহুল্য।
যে ব্যাটা হাগা মোতার জন্য যখন তখন এয়ারপোর্টে তড়ি ঘঢ়ি যাওনের পর সিধা লন্ডন কিংবা ওয়াশিংটন,ইউরোপ কিংবা এশিয়ায় যেখানে সেখানে ঘরের বৌয়ের ন্যায় বিদেশ মন্তীকে ফেলিয়া রাখিয়া এনআরআই,যিনি বসিলেই সিট বেল্ট খোঁজেন,তিনিও জানেন বহুজন ভোট ছাডা় ক্ষমতা দখল অসম্ভব।
সঙ্ঘ পরিবার বুঝিয়া সুঝিয়া ব্রাহ্মণ ন্যাতাদের খাদের মুখে ঠেলিয়া বহুজন মুখের কাফিলা তৈরি করিল,ক্ষমতাও ক্যাপচার করিল,বামেরা লোম্বাডা ছিঁডিতে পারিল না ।
আর একন কিনা সেই কমরেডদের সবে ভাত ঘুম ভাঙ্গিল।
Good Morning Comrades!
বাবরি লইয়া প্রতিবাদ দিবসের দিনই বাবসাহেবের সহিত দর্শনধারি কল্কি মহারাজ।
আম্বেডকর ক্যপচার।
বাবাসাহেবও ক্যাপচার।
বাম প্রগতির ব্যাখ্যা করিবার লাগিয়া খাস বাঙাল না হইলে চলিতেছে না,বিহারিরা প্রমাণ করিল তাহারা বুড়বক নহে,বুড়বক এই বামেরা যাহারা বৃদ্ধদের ভরসায় বিপ্লব করিবেই।যুবদের বহিস্কার করিবেই।টলছে অথচ গমগম চলছে,চলবেই।অথচ করব লড়াই।জিতব লড়াই।
কল্কি অবতার নেগেছেন বোধিসত্ব হইবার তাকীদে।
125 তম জযন্তীতে সংসদের বিশেষ অধিবেশন,বামেদের দাবি ছিল,কার্যকর করল সেই ধর্মান্ধ রাজনীতি এবং এই ধর্মান্ধ রাজনীতির মোকাবিলায় গোমংস ভক্ষণ অভিযানের নিকুচি করার পর হঠাত এসসি,ওবিসি,এসটিদের সংরক্ষণের জন্য প্রাণ যায় যায়।
অন্যদিকে সারা দেশে এসসি,ওবিসি,এসটি গেরুয়া মেরুকরণের,গেরুয়া সুনামির পায়দল সৈন্যবাহিনী রক্তবীজ।মা কালীর ভোগেও লাগতাছে না।
ধর্মান্ধ মেরুকরণে দিদির হাতে মোসলমান আর মোদীর মুদিখানায় হিন্দুত্বের রান্না জমজমাট,সুদীপার রান্নাঘর ফেল।
একন দিদি নাম্বার ওয়ান রিয়েলিটি শো রাজনীতি।ক্লাব থাকিলেই ক্যাডার ফেল।ক্লাবে ক্লাবে খয়রাতি জাপানী তেল।আরও আছে টিউব ছাড়া কাঁবা সাইকেল।চলতা গাড়ি।
মারিব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে,রাজনীতি জমে দই।
নো তিরস্কার,পুরস্কারের বন্যা চেন্নাই এক্সপ্রেস।মুফতে ডিলিটের কারখানা,শারদা লাগে কোনহানে,ক্যাবলা কান্তি।
বাঙালি গো,গনেশ হইল,ব্যাটা বিশ্বকর্মার হাতে হ্যারিকেন।
দ্যাখতাছি দুগ্গো থাকে কি না থাকে,সরসব্তীর হাঁডির হাল।
ধেই ধেই নাচো গো বাঙালি,লুঙ্গ ডান্স,লুঙ্গি ডান্স,লুঙ্গি ডান্স।
সংবিধান দিবসে খয়রাতি দিদির চাইতে মুদিখানার বেশি ছাড়া কিছু কম হয় নাই।বহুজন রাজনীতির পাতে কম কিছু পড়ে নাই।সব ব্যাটা রাম হনুমান।জাম্বুবান কাঁবা কি করে?
বাবরি বিধ্বংসের উদ্যাপন দিবসে সব কাগজে ফুল পাতা Ad বিজ্ঞাপনে বিলোদনে বিনোদিনী ফেল বাঙালি গো,কল্কি মহারাজ।জয় জয় জয় মহারাজ,কল্কি মহারাজ।কলির শেষ।
কল কারখানা নিপাত যাক্,ধ্বংস হোক খেত খামার ,ধ্বংস হোক মেহনতী জনতা,কোটিপতি জনপ্রতিনিধিরা,কমরেড।
বামেদের ব্রিগেড সভা 27 এ ডিসেম্বরে। তৃণমূলের পেশিশক্তির মোকাবিলা করতে দলকে আরও মিলিট্যান্ট হওয়ার পরামর্শ সূর্যকান্ত মিশ্রর।বোঝো ঠ্যালা হালা।
ওদিকে আবার ,চোখকানা কলরব।চোখ বন্ধ করে ভরসা করুন। জেলা ঘুরে ঘুরে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে এখন এটাই স্লোগান। কখনও তোপ দাগছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। কখনও তাঁর কোপের মুখে বামেরাও। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যেন একটাই আর্তি ভরসা রাখুন তাঁর ওপরে।
তাহার মাঝে বিপর্যয় এখনো কাটেনি।অশনি সংকেত।দক্ষিণ ভারত মহাসাগরে ভূমিকম্প। সমুদ্র তলে তীব্র কম্পন। সমুদ্র গর্ভ থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার নীচে কম্পনের উৎস, জানিয়েছে USGS । উত্তর-পূর্ব হেরাল্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ-এই দুই দ্বীপে ভোরের দিকে কম্পন অনুভূত হয়।
বাংলায় শীতের জন্য হাহাকার ।
আজকালের প্রতিবেদনঃআজ রবিবার বাবরি মসজিদ ভাঙার সেই কুখ্যাত দিন। অন্যবারের মতো এবারও রাজ্য ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দিনটি সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করেন বামপন্থীরা। কলকাতায় এদিন উত্তর ও দক্ষিণ দু'দিক দিয়ে যৌথ উদ্যোগে দুটি পৃথক মিছিল বের করবে রাজ্যের সমস্ত বামপন্থী দল। শহিদ মিনারে সমাবেশ করবে সি পি আই। শুধু এখানেই নয়, রাজ্যের সমস্ত জেলায়, জেলা শহরে, মহকুমা স্তরেও মিছিল বের করবে বামপন্থী দলগুলি। এদিন হাওড়া জেলার বামপন্থী দলসমূহের আহ্বানে সম্প্রীতি মিছিল বের হবে দুপুর ২টোয়। বালি খাল থেকে শিবপুর অলকা সিনেমা হল পর্যন্ত। এদিন সকাল ৯টায় চিড়িয়ামোড় থেকে একটি পদযাত্রা বের হবে কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের আহ্বানে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার ডাক। মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন সি পি এম রাজ্য সম্পাদক, বিরোধী দলনেতা ডাঃ সূর্যকান্ত মিশ্র–সহ অন্যান্য বামপন্থী নেতৃত্ব। বিকেল ৪টেয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ঐক্য–সংহতি রক্ষায় সম্প্রীতি মিছিল হবে উত্তরে দক্ষিণে। উত্তরের মিছিল কলেজ স্কোয়্যার থেকে বের হয়ে যাবে নারকেলডাঙা পর্যন্ত। দক্ষিণের মিছিল বের হবে হাজরা মোড় থেকে। বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে শেষ হবে পার্ক সার্কাস ৭ মাথার মোড়ে।
উল্লেখ্য, ১ ডিসেম্বর থেকেই বৃহত্তর বাম ঐক্যের ডাকে জেলায় জেলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে, বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
স্কোয়াড হয়েছে, বিক্ষোভ, অবস্থান হয়েছে। কোথাও হয়েছে কনভেনশনও। গত দু'দিন জেলার সর্বত্র হাট সভা, বাজার সভার মধ্য দিয়ে মানুষকে সম্প্রীতির পক্ষে ও বি জে পি–র বিপদ সম্পর্কে প্রচার চালিয়েছে বামপন্থী দলগুলি।
এদিন কলকাতায় সি পি আইয়ের একটি সভা রয়েছে শহিদ মিনারে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে একাধিক কর্মসূচি শেষ হবে এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে। সেখানে অবধারিত ভাবেই প্রতিবাদ হবে অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক বিপদ নিয়ে।
No comments:
Post a Comment