Friday, November 28, 2014

ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরি প্রয়াত,হস্তক্ষেপের শ্রদ্ধান্জলি Man of History,Tapan Roychowdhuri no more Eminent historian Tapan Raychaudhuri has died at his Oxford home

ইতিহাসবিদ তপন রায়চৌধুরি প্রয়াত,হস্তক্ষেপের শ্রদ্ধান্জলি
Man of History,Tapan Roychowdhuri no more
Eminent historian Tapan Raychaudhuri has died at his Oxford home in England after protracted illness.

Print Friendly and PDF





The 88-year old passed away around 3:30am Thursday Bangladesh time in front of his daughter who rushed in from Tokyo, Raja Dasgupta, a Kolkata-based filmmaker, told bdnews24.com.

According to Dasgupta, a close relative of the late historian, Raychaudhuri was almost bedridden for the past one and a half years after suffering back-to-back strokes.

"On Monday, his condition further deteriorated after he suffered another stroke. After the last stroke doctors gave up all hopes and advised against hospitalising him as it would be futile."

He left behind wife, a daughter, a granddaughter and a host of admirers, friends and students.

Born on May 8, 1926 in Barisal, Raychaudhuri specialised in British and ancient Indian history, Indian economic history and the History of Bengal.

In recognition to his contributions to history, the Government of India conferred him Padma Bhushan in 2007.

American Historical Association awarded him the coveted Watumull Prize, jointly with Marxist historian Irfan Habib, for his work, Cambridge Economic History of India.

He taught Indian history and civilisation at the University of Oxford.

He wrote several books on socio-economic history.

"A wonderful account, by one of the leading historians of India, of the story of his life and of the class of landlords of Bengal to which his family belonged... This is a superb book," was how Nobel laureate welfare economist Amartya Sen had described Raychaudhuri's memoir, "The World in Our Time: a Memoir" published in 2012.

But more than a hardcore historian, he will be remembered more for his lively works in Bengali like 'Romanthan Athoba Bhimrotiprapter Paracharitcharcha' and 'Bangalnama', which are perhaps a befitting portrayal of his own character.

"Apart from being erudite, he was very humorous and lively person," recalled Raja Dasgupta.

His funeral would take place in Oxford in a day or two, Dasgupta said. "By late tonight we will know when the last rites will take place."



অ'ফোর্ড, ২৭ নভেম্বর– জাতীয় অধ্যাপক তপন রায়চৌধুরি আর নেই৷‌ অ'ফোর্ডে গতকাল ভারতীয় সময় গভীর রাতে, ঘড়িতে তখন ২টো ৩০, মৃত্যু হয় বিখ্যাত এবং সুরসিক এই ইতিহাসবিদের৷‌ আদ্যম্ত বাঙালি তপনবাবুর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর৷‌ বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্হ ছিলেন৷‌ সম্প্রতি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের পর তাঁর অবস্হা আরও সঙ্কটজনক হয়৷‌ তবে তিনি হাসপাতালে যেতে চাননি৷‌ তাই অ'ফোর্ডের বাড়িতেই চিকিৎসার ব্যবস্হা হয় তাঁর৷‌ বাবার অসুস্হতার খবর পেয়ে টোকিও থেকে গত সপ্তাহে অ'ফোর্ডে চলে আসেন তপনবাবুর মেয়ে৷‌ মৃত্যুকালে তাঁর পাশেই ছিলেন৷‌ 

১৯২৬-এর ৮ মে কুমিল্লায় জন্ম তপন রায়চৌধুরির৷‌ প্রাথমিক শিক্ষা বরিশাল জেলা স্কুলে৷‌ পরবর্তী সময়ে স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র ছিলেন৷‌ ইতিহাসে স্নাতক হন প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে৷‌ স্নাতকোত্তর হন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷‌ দুটি ক্ষেত্রেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন৷‌ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পি এইচ ডি করে পড়তে যান অ'ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলিয়ল কলেজে৷‌ স্যর যদুনাথ সরকারের অধীনে গবেষণা করার সময় তাঁর লেখা 'বেঙ্গল আন্ডার আকবর অ্যান্ড জাহাঙ্গির' ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হিসেবে গণ্য৷‌ দেশে ফিরে অধ্যাপক হিসেবে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য যোগ দেন দিল্লি স্কুল অফ ইকনমিক্স-এ৷‌ ১৯৭৩-এ অ'ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যান৷‌ ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক দক্ষিণ এশীয় ইতিহাস বিষয়ের রিডার ছিলেন ১৯৭৩ থেকে '৯২ পর্যম্ত৷‌ বাংলার ইতিহাস, পরাধীন ভারতের ইতিহাস এবং দেশের আর্থিক ইতিহাসের বিশেষ: ছিলেন তিনি৷‌ অবসরের পর অ'ফোর্ডের সেন্ট অ্যান্টনি'জ কলেজের ফেলো ছিলেন দীর্ঘদিন৷‌ পরে সেখানেই এমিরেটাস প্রফেসর নিযুক্ত হন৷‌ এছাড়া বিভিন্ন সময়ে পড়িয়েছেন বার্টলে, ইয়েল এবং পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে৷‌ কর্মজীবন শেষেও অ'ফোর্ডেই থেকে যান৷‌ তবে কলকাতায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল৷‌ বইমেলায় আসতেন প্রায় প্রতি বছর৷‌ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে অত্যম্ত হৃদ্যতার সম্পর্ক ছিল তপন রায়চৌধুরির৷‌ ২০০৭-এ পদ্মভূষণে সম্মানিত হন তপন রায়চৌধুরি৷‌ ডি লিট পেয়েছেন অ'ফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে৷‌ এছাড়া ১৯৮২-তে তাঁকে ওয়াটমাল প্রাইজে পুরস্কৃত করে 'আমেরিকান হিস্টোরিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন'৷‌ এত খ্যাতি সত্ত্বেও ব্যবহারিক জীবনে তিনি ছিলেন সরল এক মানুষ৷‌ পাণ্ডিত্য বা সেই পাণ্ডিত্যের স্বীকৃতি তাঁর স্বভাববিনয়কে নষ্ট করতে পারেনি৷‌ সাহিত্য, বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যের বিশেষ অনুরাগী ছিলেন৷‌ ইতিহাস নিয়ে তাঁর লেখা উল্লেখযোগ্য বইয়ের কয়েকটি 'ইওরোপ রিকন্সিডার্ড: পারসেপশন অফ ওয়েস্ট ইন নাইন্টিনথ সেঞ্চুরি বেঙ্গল', 'পারসেপশনস ইমোশনস সেন্সিবিলিটিস: এসেস অন ইন্ডিয়া'জ কলোনিয়াল অ্যান্ড পোস্ট-কলোনিয়াল এ'পিরিয়েন্সেস'৷‌ ইতিহাসের বাইরে লিখেছেন 'দি ওয়ার্ল্ড ইন আওয়ার টাইমস'৷‌ এছাড়া বাংলায় অসাধারণ কিছু গদ্য লিখেছেন প্রয়াত ইতিহাসবিদ৷‌ তাঁর আত্মজীবনী 'বাঙালনামা' অতি জনপ্রিয়৷‌ 'রোমম্হন অথবা ভিমরতিপ্রাপ্তের পরচরিতচর্চা', 'প্রবন্ধ সংগ্রহ'-ও উল্লেখযোগ্য৷‌ বাঙালির মন নিয়ে সম্প্রতি লিখছিলেন তপনবাবু৷‌ তা অসম্পূর্ণই থেকে গেল৷‌

No comments:

Post a Comment