Friday, May 9, 2014

সারদাকান্ডে সিবিআই ত হল,গরীব গুরবোদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা হবে কি? না!

সারদাকান্ডে সিবিআই ত হল,গরীব গুরবোদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা হবে কি? না!

शारदा फर्जीवाड़े की सीबीआई जांच तो हो रही है,लेकिन ठगे गरीबों का पैसा वापस होगा क्या? नहीं!


এক্সকেলিবার স্টিভেন্স বিশ্বাস


কে কী বললেন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সিবিআই কেন, সিবিআইয়ের বাবা তদন্ত করলেও আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি তো বেঁচে গেলাম। চার লক্ষ মানুষের টাকা আমরা ফেরত দিয়েছিলাম। এ বার সিবিআই টাকা ফেরত দিক। আমাদের আর কোনও দায়িত্ব রইল না। আমি ও আমার সরকার বেঁচে গেল। এর পর সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির ঘরে ঘরে গিয়ে বাংলার মানুষ টাকা চাইবে।  

অমিত মিত্র: রায়কে স্বাগত জানাচ্ছে রাজ্য। যে কোনও ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রস্তুত। কোর্টের রায়ে সিটের কাজের প্রশংসা করা হয়েছে।

অধীর চৌধুরী: রায়কে স্বাগত। এই রায়ের পরে শাসক দলের রাজনীতি, গোঁয়ার্তুমি আরও প্রকট হল। তৃণমূল এত দিন সততার নামাবলী গায়ে দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছে। সে ক্ষেত্রে তৃণমূল ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটি একটি ব্যক্তিগত পরাজয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নৈতিকতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ধুলোয় মিশে গেল।

বিমান বসু: তিন বছর ধরে তৃণমূল কংগ্রেস পাঁকে নিমজ্জিত। সিবিআইয়ের উচিত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা।

রবিশঙ্কর প্রসাদ: সিবিআই তদন্তের জন্য আগেই রাজ্যকে বলেছিলাম। যেখানে এত লক্ষ আমানতকারী আত্মহত্যা করেছেন, সেখানে আগেই রাজ্যের এ ব্যাপারে রাজি হওয়া উচিত ছিল।

প্রকাশ কারাট: সিবিআই তদন্ত স্বাগত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করায় এত দিন সিবিআই তাদের কাজ করতে পারেনি। এই তদন্তের পরে আসল দোষীদের চেনা যাবে। সারদা গোষ্ঠীর যেখানে যত সম্পত্তি আছে বাজেয়াপ্ত করে ২৫ লক্ষ আমানতকারীর প্রাপ্য টাকা ফেরত দেওয়া উচিত।

দীপা দাসমুন্সি: পরিকল্পনামাফিক যাঁরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেউ রেহাই পাবেন না। আগামী দিনে তাঁদের জেল হবেই। কেউ ছাড় পাবেন না। সত্য এক দিন উদ্ঘাটিত হবেই। এত দিন তৃণমূল এই সত্যকে আড়াল করে এসেছে। যাঁরা গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন আগামী ১২ মে তাঁরা যেন নিজেদের আশ্রয় খুঁজে নেন।

শশী তারুর:  সারদা-দুর্নীতিতে যাতে দোষীরা চিহ্নিত হয় এবং শাস্তি পায়, সেটাই চাই। ১৮ লক্ষ বিনিয়োগকারী তদন্তে সুবিচার পাক। তাদের টাকা ফেরত আসুক।

অর্পিতা ঘোষ: এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে যে ভাবে তদন্ত হচ্ছিল, তাতেও আপত্তির কিছু ছিল না। দেখতে হবে সিবিআই যেন নন্দীগ্রামের মতো কাণ্ড না করে। তদন্ত যেন ঠিকঠাক হয়।

বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য: রাজ্য সরকার রাজ্যের কোষাগার থেকে টাকা দিচ্ছে, এটাও তো একটা কেলেঙ্কারি। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে তদন্ত করতে হবে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে কে বলেছিল এই দায়িত্ব নিতে? এই কেলেঙ্কারি সারদা গোষ্ঠীর। সুতরাং টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্বও তাদের। টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব সিবিআইয়ের নয়।

http://www.anandabazar.com/eimuhurte/%E0%A6%B8-%E0%A6%B0%E0%A6%A6-%E0%A6%AE-%E0%A6%AE%E0%A6%B2-%E0%A7%9F-%E0%A6%B8-%E0%A6%AC-%E0%A6%86%E0%A6%87-%E0%A6%A4%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%A4-%E0%A6%B0-%E0%A6%A8-%E0%A6%B0-%E0%A6%A6-%E0%A6%B6-%E0%A6%A6-%E0%A6%B2-%E0%A6%B8-%E0%A6%AA-%E0%A6%B0-%E0%A6%AE-%E0%A6%95-%E0%A6%B0-%E0%A6%9F-1.29145


সারদাকান্ডে সিবিআই ত হল,গরীব গুরবোদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা হবে কি?


সোজা কথায় একমাত্র জবাব হল, না!


সারদাকান্ডে সিবিআই ত হল,নির্বাচনের শেষ দফায় ভোটের ফলাফলবদলে যাবে  কি?


সোজা কথায় একমাত্র জবাব হল, না!


ভারতের বহুল আলোচিত সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তভার শেষ পর্যন্ত দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। শুক্রবার সে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীমকোর্ট মামলাটির তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয়ার নির্দেশ দেয়। খবর এনডিটিভি ও পিটিআইয়ের।


বিচারপতি টিএস ঠাকুর ও সি নাগাপ্পনের এক ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেয়। রায়ে সারদা কেলেঙ্কারির সব নথিপত্র সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


পাশপাশি এই মামলা খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও সকল প্রকার সহায়তার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার আগে দেশটির শীর্ষ আদালতের এই রায় নিঃসন্দেহে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে খানিকটা বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সারদাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলাটি দায়ের হয় গত বছরের ২০ মে। শুনানি শেষ হয় এ বছরের ১৬ এপ্রিল। আগেই এই মামলায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিল অসম ও ত্রিপুরা সরকার।


উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে আসছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ আদালতে জানানো হয়েছিল, যে অন্যান্য রাজ্যে সিবিআই তদন্ত হলেও পশ্চিমবঙ্গে সিবিআই তদন্তের কোন প্রয়োজন নেই। তবে বিশেষ তদন্তকারী দলই এই ঘটনার তদন্ত করতে পারে। রাজ্যে পঞ্চম দফায় ১৭টি কেন্দ্রের নির্বাচন ১২ মে। তার আগে এই রায় ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলবে।

supreme

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক - শেষ দফা ভোটের আগে সারদা কাণ্ডে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। রাজ্যের আপত্তি অগ্রাহ্য করে সারদা মামলার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ এই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি টিএস ঠাকুর ও বিচারপতি সি নাগাপ্পান। এই রায়কে যুগান্তকারী ঘোষণা করে আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী জানিয়েছেন যে এই মামলার রায় দিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১০ হাজার কোটি টাকার সারদা কেলেঙ্কারিতে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নাম জড়িত থাকায় রাজ্য পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে উপযুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন বিচারপতিদ্বয়। রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ সারদার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতেও ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন তাঁরা। সে কারণেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে এই তদন্তভার দেওয়া হল।


প্রথম থেকেই সারদায় সিবিআই-এর বিরোধিতা করেছে রাজ্য সরকার। প্রতিবেশী যে দুটি রাজ্যেও সারদা ডালপালা মেলেছিল, সেই অসম ও ওডিশা সিবিআই তদন্তে সম্মতি দিলেও আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু সে আপত্তি টিকল না শীর্ষ আদালতে। সিট-এর তদন্তেও এদিন অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যখন লোকসভা ভোটের আর মাত্র এক দফা বাকি, তখন এই রায়ে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে পড়ে গেল রাজ্য। কারণ সোমবার দক্ষিণবঙ্গে যে ১৭টি আসনে ভোট হবে, সারদার ছায়া সেই এলাকাতেই সবচেয়ে গভীর৷ সিবিআই তদন্তের নির্দেশের ফলে এই শেষ দু-দিনের প্রচারে তৃণমূলকে বিঁধে তার ফায়দা তুলতে চেষ্টা করবে বিরোধীরা৷ ইতিমধ্যে এ রাজ্যে প্রচারে এসে সারদা নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গান্ধী। রাজ্য সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এটাই বিরোধীদের প্রধান অস্ত্র। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই অস্ত্রে যে আরও ভাল ভাবে শান দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট।


দিদির রাজত্বে বলির পাঁঠা সংখ্যায় বাড়তে পারে এবং সাংসদ নির্বাচিত হবার পর কেউ কেউ কুণাল দশায় পড়তেও পারেন,তাতে দিদির কিছু যায় আসে কি?


বিরোধী পক্ষও কিন্তু ধোয়া তুলসী পাতা নয়!

চারশ পোন্জী নেটএয়ার্ক গত তিন বছরে তৈরি হয়নি!


দিদি অভিযোগের তীর সেদিকে ঘুরিয়ে দিয়ে জনসমর্থন অটূট রাখতে পেরেছেন এবং রাজ্যের জন গণের আস্থাও তাঁরই পক্ষে!


দিদি সিবিআই হওয়ার আগে পরে বলেছেন,ঘোড়ার ডিম হবে!


দিদি আরও বলেছেন,আমানতকারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার দায়িত্ব সিবিআই হওয়ার প্রেক্ষিতে আর রাজ্য সরকারের নেই!


তাঁর রাজ্যে তিনি এক ছত্র সাম্রাজ্ঞী,তাঁর সহযোগিতা বিনা সিবিআই কতটা কি করতে পারবে?


মুকুল রায় যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে বলেছেন,16 মের পর কেন্দ্র সরকার থাকবে না আর সিবিআইও থাকবে না!


ভারতের সবচাইতে বৃহত্তর কোম্পানি সহারা ইন্ডিয়ার মালিক সহারা শ্রী সুব্রত রায় সুপ্রীম কোর্টের আদেশে জেলে,বার বার তাঁর জামিন খারিজ হয়ে চলেছে,অথচ আমানতকারিরা সেি জেলেই!


সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী সেই কবে থেকে জেলে,ইদানিং স্ত্রী পুত্রও জেলে,অথচ হাদার হাজার কোটি টাকার হদিশ মেলেনি এখনো!


জনরোষ ঠেকাতে যে পাঁচশো কোটি টাকার ফান্ড হয়েছে,তা প্রয়োজনে উডের মুখে জিরে!


এই রাজ্যে বা সারা দেশে তামাম ঘোটালায় রিকভারির ইতিহাস ঘন অন্ধ যুগ!


এ যাবত যা তথ্য মিলেছে, সারদায় জমা টাকা লগ্ণি হয়নি কোথায়,হস্তান্তরিত হয়েছে এবং সে টাকা ফেরত পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা আদৌ নেই!


16 মের পর কেন্দ্র নূতন সরকার নিয়ে পক্ষ বিপক্ষের বর্তমান অবস্থানের পরও নির্ভর করবে তদন্ত ভাগ্য,ঠিক যেমনটি ইঙ্গিত করেছেন মুকুল রায়,দিদির ডানহাত একাধারে ও অন্যদিকে সারদা কান্ডে পর্থম থেকে অভিযুক্ত!

উল্লসিত বিরোধীরা, স্বাগত জানালেন মমতাও

sarada

এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক - সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী প্রচারে এখন মুর্শিদাবাদের কান্দিতে মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জনসভায় সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর এ কথা জানান তিনি। তবে সিবিআই কতদুর কী করতে পারবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন মমতা। পাশাপাশি, সারদায় প্রতারিতদের টাকা ফেরত দেওয়ার যাবতীয় দায়িত্ব এবার কেন্দ্রীয় সরকারের বলে দাবি করেছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।


সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর সাংবাদিক বৈঠক করে অমিত মিত্র বলেন, "আমাদের দলের এমপিকে আমরাই জেলে পাঠিয়েছি। কেন্দ্রে এরকম নজির কোথায়? ১৮ লক্ষ মানুষকে আমরা টাকা ফেরৎ দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছি। তাঁরা অ্যাপ্লিকেশন দিয়েছে। কাজ চলছে। এরকম নজির নেই ভারতবর্ষে।" পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়ে অর্থমন্ত্রীর দাবি যে সারদায় সিটের তদন্তে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে শীর্ষ আদালত। তিনি আরও বলেন যে বাম আমলেও সঞ্চয়িতার ঘটনা ঘটেছিল। তদন্ত শুরু হলেও সেই তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি।


সারদা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এই রায়ের ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পরাজয় ঘটল বলে দাবি করেছেন তিনি। এই রায়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস আবদুল মান্নান। এই রায়ের ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততার মুখোশ খুলে পড়ল বলে অভিযোগ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।



অবশ্যই মনে রাখা দরকারঃ



দিল্লির রাজনীতির চাবি যে তিন নেত্রীর হাতে

শুভজ্যোতি ঘোষ

শুভজ্যোতি ঘোষ

বিবিসি বাংলা, দিল্লি

সর্বশেষ আপডেট শুক্রবার, 9 মে, 2014 15:06 GMT 21:06 বাংলাদেশ সময়

ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে বিগত প্রায় পঁচিশ বছর ধরে বিরাট গুরুত্ব পেয়ে আসছেন তিনজন নেত্রী – তামিলনাড়ুর জয়ললিতা, উত্তরপ্রদেশের মায়াবতী ও পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জী।

এই তিনজনের রাজনৈতিক প্রতিপত্তি মূলত নিজেদের রাজ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও জাতীয় স্তরে দুই প্রধান দলই নানা সময়ে তাদের পাশে পেতে চেয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়

কিন্তু ঠিক কীসের জোরে আর কীভাবে রাজধানীর রাজনীতিতে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পারলেন এই তিনজন নেত্রী? চলতি লোকসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর এই তিনজনের সম্ভাব্য ভূমিকাই বা কী হতে পারে?

তিন রাজ্য, তিন নেত্রী

জয়রাম জয়ললিতা। বয়স ৬৬ বছর, প্রায় দেড়শো দক্ষিণী ছবির নায়িকা ছিলেন। রাজনীতিতে এসেও দারুণ সফল, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চার-চারবার।

অন্তত ছটা ভাষায় অনর্গল কথা বলতে পারেন, ভক্তরা ডাকে আম্মা বা পুরাচ্চি থালাইভি, অর্থাৎ বিপ্লবী নেত্রী নামে।

বয়সে জয়ললিতার চেয়ে প্রায় আট বছরের ছোট কুমারী মায়াবতী। ভারতে দলিত রাজনীতির পুরোধা – মায়াবতীও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চারবার।

দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমহা রাও একবার বলেছিলেন, মায়াবতী হলেন গণতন্ত্রের মির‍্যাকল! ছোটবড় সবার কাছে তিনি অবশ্য প্রিয় বহেনজি!

"অনেকে হয়তো তাদের টেম্পারামেন্টাল ভাবেন, কিন্তু আসলে সেটাই তাদের ইউএসপি – তা না-হলে তারা ভারতের পুরুষতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোতে এভাবে দাপট দেখাতে পারতেন না!"

মানিনি চ্যাটার্জি, সাংবাদিক

মায়াবতীঃ ভারতের দলিতদের নেত্রী


এবং মায়াবতীরই প্রায় সমবয়সী মমতা ব্যানার্জি – পশ্চিমবঙ্গ তথা সারা দেশে যার পরিচয় দিদি নামে।

লড়াকু, অগ্নিকন্যা ইত্যাদি অনেক বিশেষণ আছে তার, এবং যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে চৌত্রিশ বছরের বামপন্থী শাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন, সেটা প্রায় ভারতীয় রাজনীতির লোকগাথার অংশ হয়ে গেছে!

এবং এই তিনজন মহিলা রাজনীতিককেই বরাবর দিল্লি ভীষণ সমীহের চোখে দেখে এসেছে – জাতীয় দলগুলোর কাছে তারা অপরিসীম গুরুত্ব পেয়ে এসেছেন!

কেন এত কদর?

দিল্লিতে দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকার রাজনৈতিক সম্পাদক মানিনী চ্যাটার্জি মনে করেন এই তিনজন নেত্রী এমন তিনটে রাজ্যে রাজনীতি করেন যা পার্লামেন্টে প্রচুর আসন দেয় – ফলে তাদের কদরও আলাদা।

'তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরী মিলে আসন মোট চল্লিশটা, পশ্চিমবঙ্গে বিয়াল্লিশটা, আর উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বেশি – আশিটা। আর এই কারণেই এই তিনজন নেত্রীর গুরুত্ব ওড়িশার নবীন পটনায়ক বা কাশ্মীরের ওমর আবদুল্লার চেয়ে বেশি', বলছিলেন মিস চ্যাটার্জি।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনজনই অবিবাহিত, তাদের মেজাজমর্জিও খুব শান্তশিষ্ট এমন কোনও প্রচার নেই। রাজনৈতিক কেরিয়ারে তারা তিনজনেই কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেসের হাত ধরতে দ্বিধা করেননি। কিন্তু তিনজনের মিল বোধহয় এখানেই শেষ!

দিল্লিতে গত তিন দশকে এই তিনজনের রাজনৈতিক উত্থানের প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক জয়ন্ত ঘোষাল। তিনি বলছিলেন, জয়ললিতা যদি কংগ্রেস-বিরোধী দ্রাবিড় রাজনীতির প্রতিভূ হন, মমতা ব্যানার্জির রাজনৈতিক জিন কিন্তু কংগ্রেস ঘরানারই!

জয়ললিতাঃ অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে

আর মায়াবতী – যিনি ভারতে দলিত রাজনীতির ধ্যানধারণাই সম্পূর্ণ পাল্টে দিয়েছেন – তিনি কিন্তু হাজার রাজনৈতিক টানাপোড়েনেও নিজের দলিত ভোটব্যাঙ্ককে আগাগোড়া সংহত রাখতে পেরেছেন।

চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা

কিন্তু এই রকম সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক পটভূমি থেকে উঠে এলেও যেভাবে তারা তিনজনেই দিল্লির পুরুষতান্ত্রিক রাজনীতিতে দাপট দেখিয়ে চলেছেন – তাতে তাদের তিনজনের স্বভাবের একটা অভিন্ন বৈশিষ্ট্যই ধরা পড়ে, বলছিলেন মানিনী চ্যাটার্জি।

তিনি বলছিলেন, 'মমতা ব্যানার্জির রাজনীতিতে কোনও গডফাদার ছিলেন না। জয়ললিতা ও মায়াবতী যদিও যথাক্রমে এমজি রামচন্দ্রন ও কাঁসিরামের হাত ধরে রাজনীতিতে এসেছিলেন, কিন্তু তারা তিনজনেই নিজেরা খেটেই নিজেদের আজকের জায়গা করে নিয়েছেন।'

মিস চ্যাটার্জির কথায়, 'অনেকে হয়তো তাদের টেম্পারামেন্টাল ভাবেন, কিন্তু আসলে সেটাই তাদের ইউএসপি – তা না-হলে তারা ভারতের পুরুষতান্ত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোতে এভাবে দাপট দেখাতে পারতেন না!'

পুরাচ্চি থালাইভি জয়ললিতার জয়গান গাওয়ার সময় তার দলের সমর্থকরা এই স্বপ্নও দেখেন - প্রিয় নেত্রীকে তারা একদিন প্রধানমন্ত্রীর আসনেও দেখবেন।

জয়ললিতা নিজে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, জীবনের রঙ্গমঞ্চে অভিনয় করতে পারেন না বলেই বোধহয় সবাই তাকে ভুল বোঝে! ভন্ডামি তার আসে না, তাই রাজনীতিতে বোধহয় তিনি বেমানান! ক্যামেরার সামনে অভিনয় অনেক করেছেন, কিন্তু আসল জীবনে সেটা আর করা হল না।

বহুজন সমাজ পার্টির নেত্রী মায়াবতীও তার রাজনৈতিক লক্ষ্য, তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে কখনওই কোনও রাখঢাক করেননি – গোপন করেননি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বাসনাও!

তিনিও বলেন, আমি যেমন দলিত পরিবারের মেয়ে, তেমনি হিন্দুস্তানেরও মেয়ে। দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে শুধু দলিত নয়, সমাজের সবার জন্যই কাজ করেছি – আর ভারতের দায়িত্ব পেলেও তাইই করব!

মমতা ব্যানার্জীঃ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

সম্প্রতি কলকাতায় ব্রিগেড গ্রাউন্ডের সমাবেশ থেকেও মমতা ব্যানার্জিকে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক উঠেছে, তিনি তাতে হাসিমুখে সায়ও দিয়েছেন।

কখনও কংগ্রেস, কখনও বিজেপি

এবং এই তিনজন নেত্রীই অতীতে কংগ্রেস ও বিজেপি – ক্ষমতায় যেতে উভয় শিবিরেই ভিড়েছেন। মানিনী চ্যাটার্জি অবশ্য একে ঠিক আদর্শের সঙ্গে আপষ বলে মনে করেন না।

তিনি বলছেন, যেহেতু নিজ নিজ রাজ্যে তাদের প্রধান লড়াইটা অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে – যেমন জয়ললিতার ক্ষেত্রে ডিএমকে, মমতার ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট ও মায়াবতীর ক্ষেত্রে সমাজবাদী পার্টির বিরুদ্ধে – তাই কেন্দ্রে কখনও কংগ্রেস বা কখনও বিজেপির হাত ধরতে তাদের অসুবিধা হয়নি!

যে দলের সঙ্গে গেলে রাজ্যের রাজনীতিতে তাদের সুবিধা হবে বলে তারা মনে করেছেন – এই তিনজন নেত্রীই তখন সে জোটের সঙ্গে ভিড়েছেন।

এই তিনজনের মধ্যে বিশেষ করে মায়াবতীর ঘোষিত লক্ষ্যই হল দলিতদের স্বার্থে তিনি যা-খুশি করতে রাজি – আর সেটা তিনি কাজে করেও দেখিয়েছেন, বলছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ সাহিত্যিক ও সাংবাদিক জগদীশ পীযূষ।

তিনি বলছিলেন, 'দলিত বর্গের লোক – মজদুর-চামার-পাসিরাও যে এ দেশেরই মানুষ, তা তো মায়াবতীই প্রথম চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন। আর আজ বিজেপি, কাল কংগ্রেসের কথা বলছেন – ম্যাকিয়াভেলির মতো দার্শনিকরাই তো বলে গেছেন, যুদ্ধ আর প্রেমে জেতার জন্য কিছুই অন্যায় নয় – ফলে আমরা তার সমালোচনা করার কে?'

ভোটের পরে কী ভূমিকা?

"যদি এমন পরিস্থিতি হয়, নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকাতে কংগ্রেস এই তিনজনের কাউকে সমর্থন করে দিল – তখন তো তারাই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন।"

জয়ন্ত ঘোষাল, সাংবাদিক

দেশে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে আর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই – এবং প্রায় সব জরিপেই পূর্বাভাস হল, নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা পাবে না কোনও জোটই।

সে ক্ষেত্রে সরকার গড়ায় আঞ্চলিক শক্তিগুলোর বড় ভূমিকা থাকবেই – আর তাতে যদি এই তিনজন নেত্রীর কারও কপালে প্রধানমন্ত্রিত্বের শিকেও ছেঁড়ে, তাতে অবাক হবেন না জয়ন্ত ঘোষাল।

তার কথায়, 'যে দেশে দেবগৌড়া বা গুজরাল প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, সেখানে এই সম্ভাবনাই বা নাকচ করি কী করে? যদি এমন পরিস্থিতি হয়, নরেন্দ্র মোদীকে ঠেকাতে কংগ্রেস এই তিনজনের কাউকে সমর্থন করে দিল – তখন তো তারাই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন। চন্দ্রশেখর বা চরণ সিংয়ের বেলাতেও কংগ্রেস তো সেটাই করেছিল!'

আর অন্যদিকে বিজেপির নরেন্দ্র মোদী যদি সরকার গড়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যান – তাহলে এই তিন নেত্রীর মধ্যে বিশেষ একজনের তাকে সমর্থন করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি – বলছিলেন মানিনী চ্যাটার্জি।

তার ব্যাখ্যা হল, 'বিজেপি যদি খুব ভাল করে তাহলে তাদের উত্তরপ্রদেশে খুব ভাল করতেই হবে – অর্থাৎ মায়াবতীর আসন অত বেশি হবে না। ফলে তিনি বাদ গেলেন। আর পশ্চিমবঙ্গে দুবছর পরের বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘু ভোটের কথা ভেবে মমতার পক্ষে নরেন্দ্র মোদীকে সমর্থন করা প্রায় অসম্ভব!'

'ফলে বাকি রইলেন শুধু জয়ললিতা – যার সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত সম্পর্কও বেশ ভাল। ফলে মি মোদী সরকার গড়ার কাছাকাছি পৌঁছে গেলে তার সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি' – মনে করেন মানিনী চ্যাটার্জি।

ভারতের জটিল রাজনীতির ক্যানভাসে এই তিনজন নেত্রী – এক নি:শ্বাসে যাদের অনেকেই জয়া-মায়া-মমতা বলে সম্বোধন করে থাকেন, তারা গত আড়াই দশক ধরে এক বিশেষ ধারার রাজনীতির প্রতিনিধিত্ব করে এসেছেন, আর এই ২০১৪ সালে এসে তার ব্যতিক্রম হওয়ার কোনও কারণ নেই।

সেই রাজনীতি রুথলেস ও কঠোর বাস্তবতাসম্পন্ন, দয়া-মায়া-মমতার অন্তত তাতে কোনও ঠাঁই নেই!






शारदा फर्जीवाड़े की सीबीआई जांच तो हो रही है,लेकिन ठगे गरीबों का पैसा वापस होगा क्या?


नहीं!


बंगाल में आखिरी चरण के मतदान से पहले सुप्रीम कोर्ट के आदेशानुसार राज्यसरकार के प्रबल आपत्ति के बावजूद शारदा फर्जीवाड़े की सीबीआई जांच तो हो रही है,लेकिन ठगे गरीबों का पैसा वापस होगा क्या?


नहीं!


सुप्रीम कोर्ट ने शारदा चिट फंड घपले की जांच सीबीआई को सौंपने का फैसला किया है। पश्चिम बंगाल सरकार अब तक इस मामले की जांच सीबीआई को सौंपने का विरोध करती रही है।


इस मामले में राज्य की सत्ताधारी तृणमूल कांग्रेस के कई वरिष्ठ नेताओं के शारदा समूह से निकट संबंध होने के आरोप भी लगते रहे हैं।

पश्चिम बंगाल की सरकार इस मामले में सीबीआई जांच की यह कह कर आलोचना करती रही है कि राज्य की विशेष जांच टीम ने इस मामले की जांच में ख़ासी प्रगति की है और अगर इस मोड़ पर जांच सीबीआई को सौपी जाती है तो राज्य पुलिस का मनोबल गिरेगा।

जब राज्य सरकार की इस दलील को ख़ारिज कर दिया गया तो उसने आग्रह किया कि पश्चिम बंगाल को छोड़ कर अन्य राज्यों में इस केस से जुड़े मामले सीबीआई को सौंपे जाएं।



असम त्रिपुरा और ओडीशा में वोट पड़ गये,बिहार में कुछ सीटों पर मतदान बाकी है।चुनाव नतीजों पर भी इस फैसले के असर हो जाने का अंदेशा कम ही है।


वोट बैंक समीकरण से मिलने वाले जनादेश में घोटालों का असर केंद्र या राज्य सरकारों की किस्मत तय नहीं किया करती।


आरोपों से घिरे राष्ट्रपति,प्रधानमंत्री मुख्यमंत्री,मंत्री,सांसद, विधायक को न्यायिक प्रणाली के बाहर लोकतांत्रिक तरीके से सजा देने या उन्हें सत्ता बाहर करने का कोई उपाय फिलहाल भारतीय लोकतांत्रिक व्यवस्था में नहीं हैं।


सीबीआई के हवाले हजारों हजार घोटालों के मामले पहले से लंबित रहे हैं और चारा घोटाले में लालू यादव को जेल भेजने के अलावा नतीजा सिफर है और विडंबना देखिये कि भ्रष्टाचार के अभियोग में जेल से जमानत पर छूटे लालू यादव ही उत्तरभारत में सियासी गणित को मुलायम,मायावती,पासवान और नीतीश कुमार से कहीं ज्यादा प्रभावित कर रहे हैं जेलयात्रा के बाद।


आरोप तो यह है कि क्षत्रपों को अंकुश में रखने के लिए ही केंद्रीय जांच एजंसियों का इस्तेमाल वक्त की नजाकत के मुताबिक होता है।


शारदा फर्जीवाड़े के पर्दाफाश के बाद सेबी,ईडी,आयकर विभाग समेत तमाम केंद्रीय एजंसियों ने भारी सक्रियता दिखायी और सेबी को पुलिसिया हक हकूक से लैस भी किया गया बाकायदा कानूनी तौर पर देश भर में चलने वाली पोंजी कंपनियों पर कार्रवाई के लिए।लेकिन मामला बीच में ठंडे बस्ते में चला गया।


इसी बीच निवेशकों को पैसा लौटाने में नाकाम देश की सबसे बड़ी पोंजी कंपनी सहारा इंडिया के सर्वेसर्वा सहारा श्री सुब्रत राय भी जेल चले गये।शारदा प्रमुख सुब्रत राय अपनी खासमखास देवयानी के साथ जेल में ही हैं।तृणमूली सांसद कुणाल घोष भी जेल में। मुख्यमंत्री समेत पक्ष विपक्ष ते तमाम सांसद मंत्री नेताओं के खिलाफ आरोप होने के बावजूद केंद्रीय एजंसियों और राज्य सरकार की ओर से गठित विशेष जांच दल ने चुनिंदा लोगों से ही पूछताछ की है।


चुनाव प्रक्रिया शुरु होते ही अचानक ईडी हरकत में आ गयी और नये सिरे से शारदा फर्जीवाड़े की बासी कड़ी में चुनावी उबाल आ गया।इसीके मध्य अब सीबीआई जांच का आदेश भी हो गया।


दोषियों को कब सजा होगी,मामला खुलेगा या नहीं,ये सवाल अपनी जगह है।असली सवाल फिर वही है कि शारदा फर्जीवाड़े की सीबीआई जांच तो हो रही है,लेकिन ठगे गरीबों का पैसा वापस होगा क्या?


इसका सीधा और एकमात्र जवाब है, नहीं!


सुप्रीम कोर्ट के आदेश की अवमानना इस देश में डंके की चोट पर होती रही है।


सुप्रीम कोर्ट के आदेशों को हाशिये पर रखकर देश के अनेक हिस्सों में संविधान लागू नहीं है और न कानून का राज है।


संसाधनों की लूटखसोट कानून और संविधान को ठेंग दिखाकर बिना रोक टोक जारी है।


मसलन सुप्रीम कोर्ट के हस्तक्षेप के बाद सहाराश्री जेल में तो पहुंच गये,लेकिन रिकवरी नहीं हो सकी और न निवेशकों को पैसा वापस मिला।


बंगाल में इससे पहले हुए तमाम मामलों में रिकवरी का इतिहास कोई सकारात्मक नहीं है।


अब तक जो तथ्य सामने आये हैं,शारदा समूह के नाम जमा रकम का कहीं निवेश हुआ नहीं है और न बैंक खातों या अचल संपत्ति में उनकी खोज संभव है।ज्यादातर रकम ठिकाने लगा दी गयी है और हस्तांतरित है।जो लाभान्वित हुए,उनकी खोज के लिए सीबीआई जांच का आदेश है।जांच कब पूरी होगी,कोई नहीं जानता।चुनावउपरांते बदल चुके राजनीतिक समीकरण का इस जांच प्रक्रिया पर क्या असर होगा कहना मुश्किल है।


मां माटी मानुष की सरकार चार सौ के करीब पोंजी कंपनियों में से एकमात्र शारदा समूह के शिकार लोगों को पांच सौ करोड़ का फंड बनाकर जनआक्रोश शांत करने की वजह से मुआवजा बांटती रही है,बिना किसी रिकवरी के।अब सारे के सारे क्षतिग्रस्त निवेशकों को राज्यसरकार मुआवजा देने लगे तो शायद बजट भी कम पड़ जाये।


साबीआई जांच की घोषणा के तुरंत बाद मुख्यमंत्री ममता बनर्जी ने सारे दोषियों को जेल भेजने का ऐलान करते हुए दावा किया है कि अब मुआवजा देना राज्य सरकार का सरदर्द नहीं है।मुआवजा सीबीआई देगी।


अभी तक एक विशेष जांच टीम, एक न्यायिक आयोग, प्रवर्तन निदेशालय और गंभीर जालसाजी जांच कार्यालय इसकी छानबीन कर रहे थे।


इस घपले के केंद्र में शारदा ग्रुप और उसके गिरफ़्तार प्रमुख सुदीप्तो सेन हैं।

लगभग एक साल पहले ये घपला प्रकाश में आया, तब से बंगाल पुलिस इस मामले की जांच कर रही थी, लेकिन शुक्रवार को सुप्रीम कोर्ट ने कहा कि इस मामले में हुई गंभीर व्यापारिक अमियमितताओं को देखते हुए वो इसकी जांच करने में सक्षम नहीं होगी क्योंकि इसमें 70 से ज्यादा कंपनियां गैर कानूनी तरीके से बंगाल, असम, त्रिपुरा, झारखंड और ओडिसा में धन जमा कर रही थीं।

अदालत का मानना है कि इस मामले के अंतरराष्ट्रीय परिणाम भी हो सकते हैं।



गौरतलब है किसुप्रीम कोर्ट ने शुक्रवार को शारदा चिट फंड घोटाले की जांच का काम सीबीआई को सौंपने का आदेश दिया है। कोर्ट ने पश्चिम बंगाल, ओडिशा और असम में इस करोड़ों रुपये के घोटाले की जांच के आदेश दिए हैं।


सुप्रीम कोर्ट का यह आदेश पश्चिम बंगाल की ममता बनर्जी सरकार के विरोध के बावजूद आया है। यह फैसला ममता सरकार के लिए सिरदर्द बन सकता है।


पिछले साल अप्रैल में सामने आए इस घोटाले में बंगाल, ओडिशा, असम के अलावा त्रिपुरा और झारंखड के हजारों लोगों ने करोड़ों रुपये गंवा दिए थे। शारदा ग्रुप के प्रमुख सुदीप्त सेन फरवरी में कोलकाता की एक अदालत ने तीन साल की सजा सुनाई थी। सेन ने प्रोविडेंट फंड नियमों के उल्लंघन का दोष कबूल किया था।


इस घोटाले पर पश्चिम बंगाल में खूब राजनीतिक हंगामा भी हुआ है। विपक्ष राज्य की सीएम ममता बनर्जी और सत्ताधारी पार्टी के कुछ नेताओं के शारदा सहित कई पोंजी स्कीमों से कनेक्शन को लेकर सवाल उठाती रही है। शारदा ने 2011 में अखबार और टीवी न्यूज़ चैनल भी लॉन्च किए थे। तीन साल चले ये अखबार और चैनल जमकर ममता की तारीफ करते रहे थे।


हालांकि ममता बनर्जी ने शारदा और उनके बीच किसी कनेक्शन से इनकार किया है। ममता ने उलटे आरोप लगाया है कि फर्जीवाड़ा करने वाली ऐसी कंपनियां लेफ्ट के शासनकाल में ही आईं।


সারদা কেলেঙ্কারি, এক নজরে

সারদা কেলেঙ্কারি, এক নজরে


প্রায় দশ মাস ধরে সুপ্রিম কোর্টে চলেছে মামলা। শুনানির সময় সারদা-কাণ্ডে রাজ্য পুলিসের তদন্তে বারবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। শীর্ষ আদালতে সিবিআই তদন্তের লাগাতার বিরোধিতা করে গেছে রাজ্য সরকার। শেষপর্যন্ত সবদিক বিচার করে সারদা কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তেরই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।


২০ মে, ২০১৩


সারদা কেলেঙ্কারির সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।


১৮ জুলাই, ২০১৩


জনস্বার্থ মামলা গ্রহণ করে রাজ্য সরকার, সেবি, ইডি-সহ সব পক্ষকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।


এরপর গত দশমাস ধরে বিচারপতি টি এস ঠাকুর এবং বিচারপতি সি এস নাগাপ্পনের ডিভিশন বেঞ্চে চলেছে শুনানি।


২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪


বাজার থেকে সারদার তোলা হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল?এই টাকার খোঁজ করা না হলে কেন তদন্তে গাফিলতির কথা উঠবে না? সিবিআই তদন্তে কেন আপত্তি রাজ্য সরকারের? জানতে চান সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা।


রাজ্যের আইনজীবী যুক্তি দেন,


সারদার ৩৮৩ টি মামলার মধ্যে ২৭৮টি মামলাতেই চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলে সিটের তদন্তকারীদের মনোবল ধাক্কা খাবে। ভোটের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।


সারদার টাকা কোথায় গেল তা হলফনামা দিয়ে জানানোর জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।


৪ মার্চ, ২০১৪


রাজ্য সরকারের হলফনামা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা।

তাঁরা বলেন,


হলফনামা অত্যন্ত আগোছালো, অনেকটা হাওয়ালা ডায়েরির মতো। আমানতকারীদের টাকা কী ভাবে উধাও হল সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য নেই।


২৬ মার্চ, ২০১৪


সারদা কেলেঙ্কারিতে কারা জড়িত? কারা লাভবান? প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিরা বললেন, সারদা কেলেঙ্কারি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র।

এই ষড়যন্ত্রের রহস্য উন্মোচনে রাজ্য কি তদন্ত করছে? ইচ্ছাকৃতভাবে এই দিকটি এড়িয়ে গেলে সিবিআই তদন্তের দরকার হবে। বড় বিষয়গুলি এড়িয়ে ছোট বিষয়ে সিট মাথা ঘামাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।


শীর্ষ আদালতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন,


বিধাননগর থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে। সেই চার্জশিটেই থাকবে সারদা-কাণ্ডে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিবরণ। এ দিনের শুনানিতেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনস্বার্থ মামলার কথা বলেন রাজ্যের আইনজীবী।


শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকার জানায়, সারদার সফটওয়্যার থেকে পাওয়া তথ্য বলছে বাজার থেকে সুদীপ্ত সেন ২৪৬০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। এই টাকা কোথায় গেল, তার সবটা সারদার সফটওয়্যার থেকে জানা যায়নি।


বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন, শুধুমাত্র সারদার সফটওয়্যার থেকে পাওয়া তথ্যের ওপরই যদি পুলিস নির্ভর করে তাহলে তদন্তের কী হচ্ছে?


২৬ মার্চের শুনানিতে সারদা কেলেঙ্কারির বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের বিষয়ে রাজ্যকে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।


৯ এপ্রিল, ২০১৪


সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে দায়ী করে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দেয় রাজ্য সরকার। বলা হয়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সহ বেশ কয়েকজন নেতার ভূমিকা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে।


বিচারপতিরা বলেন,


সারদা-কাণ্ডের দিকে তাকালে দেখা যাবে লুঠ চলছিল। এই মামলা অর্ডিনারি নয়, এটা এক্সট্রা অর্ডিনারি মামলা।


রাজ্যের আইনজীবী বলেন, প্রয়োজনে সিটের তদন্তে নজরদারি করুক সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, সিবিআই যেন দেওয়া না হয়।


বিচারপতিরা বলেন,


সারদা-কাণ্ডে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা জড়িত। সবসময় আদালতের নজরদারি কার্যকর হয় না। সিবিআই তদন্তে কেন আপত্তি জানাচ্ছে রাজ্য সরকার?


১৬ এপ্রিল, ২০১৪


সারদা-কাণ্ডে কেন সিবিআই তদন্ত হবে না ফের তা রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট।


সিবিআই তদন্তের বিরোধিতায় রাজ্যের আইনজীবী দাবি করেন,


সিটের তদন্তে কোনও গাফিলতি নেই। সিবিআই দিলে তদন্তে দেরি হবে।


চিটফান্ড-কাণ্ডে অনেক আগেই সিবিআই তদন্তে সম্মতি জানিয়েছিল ত্রিপুরা ও অসম সরকার। এ বিষয়ে ওড়িশা সরকারের বক্তব্য শুনে পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে চূড়ান্ত নির্দেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত।


২৩ এপ্রিল, ২০১৪


সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে তাদের আপত্তি নেই বলে সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দেয় ওড়িশা সরকার।


রায়দান স্থগিত রাখলেও সে দিন বিচারপতিরা বলেন,


প্রতারিতদের মনে আস্থা ফেরানো দরকার। সারদায় জড়িত নেতা-মন্ত্রী সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা। রাজ্যে রাজ্যে আলাদা তদন্ত হলে সমস্যা বাড়বে।


আদালতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন,


অন্য রাজ্যে সিবিআই হলে হোক। পশ্চিমবঙ্গে সারদা-কাণ্ডের তদন্তে সিটই যথেষ্ট।


৯ মে, ২০১৪


দশ মাসের সওয়াল-জবাব শেষে সবদিক বিবেচনা করে শেষপর্যন্ত সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।






No comments:

Post a Comment