- TOP STORY
সিঙ্গুর কাণ্ড, পঞ্চায়েত আইন সংশোধন নিয়ে বিতর্কে সুব্রত
সিঙ্গুর আইন নিয়ে রাজ্যপালের গতকালের মন্তব্যের জেরে শুরু হয়েছে বিতর্ক, তরজা। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন আজও বলেছেন, তাঁকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল সেই মতোই তিনি চলেছেন। তিনি সরকারের কথাতেই সহমত পোষণ করে বিলে সই করেছিলেন। ফলে গতকালের পর আজ ফের রাজ্যপালের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল, রাজ্য সরকারই তাঁকে বুঝিয়েছিল সিঙ্গুর বিলের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সই দরকার নেই।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, রাজ্যপাল এমন কথা বলতে পারেন না। সুব্রতবাবুর এই মন্তব্যের পর পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, এখন এসব কথা শুনতেই চাইছেন না সুব্রতবাবুরা।
শুধু সিঙ্গুর বিতর্ক নয়, পঞ্চায়েত আইন সংশোধনের সরকারি উদ্যোগকেও কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। সরকার পরিচালনার এক বছরের মাথাতেই পঞ্চায়েত আইন পরিবর্তন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরেই যে সেই কাজে হাত দেওয়া হবে, জানিয়েছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী। ১০০ দিনের প্রকল্পে বাস্তবে কতদিনের কাজ হয়েছে তা নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছে সরকার এবং বিরোধী শিবির।
২০০৮-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রথম বাম দুর্গে আঘাত হেনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখন সেই পঞ্চায়েত নিয়েই সবচেয়ে বেশি বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল সরকারকে। বদল করতে হয়েছে মন্ত্রী। এবার পঞ্চায়েত আইনেরও বেশ কিছু বদল চান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
এর মধ্যে অবশ্য নতুন কিছু দেখতে নারাজ সূর্যকান্ত মিশ্র। বরং বিরোধী দলনেতা সরব সরকারের পঞ্চায়েত পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে। এ বছর ১০০ দিনের কাজ কতটা হয়েছে তা নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন সরকার এবং বিরোধী শিবির। নিয়ম অনুযায়ী ২০১৩ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আনা হতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এদিন সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দেননি সুব্রতবাবু।
No comments:
Post a Comment